বরফে আচ্ছাদিত নয়নাভিরাম পর্বত

কাঞ্চনজঙ্ঘাছবি: লেখক

দীর্ঘদিন ধরেই কাঞ্চনজঙ্ঘার নৈসর্গিক দৃশ্য দেখার ইচ্ছা। কিন্তু সময়ের মারপ্যাঁচে আর যাওয়ার সুযোগ হয়ে উঠছিল না। অবশেষে সেই সৌভাগ্য হলো। আগেই খোঁজ নিয়ে রাখি, কখন গেলে সবচেয়ে সুন্দর দৃশ্য দেখতে পারব। বিশ্ববিদ্যালয়ের মিড পরীক্ষা শেষে মনস্থির করলাম, এবার যাব।

২২ অক্টোবর রাত ১০টায় বগুড়া রেলস্টেশন থেকে দোলনচাঁপা এক্সপ্রেসে চড়ে বসলাম। উদ্দেশ্য শান্তাহার স্টেশন, সফরসঙ্গী কাদেমুল এহসান ভাই। শান্তাহার স্টেশন থেকে পঞ্চগড়ের বীর সিরাজুল রেলস্টেশনের টিকিট আগেই কেটে রাখি। শান্তাহার থেকে আমাদের যাত্রা শুরু হলো রাত ১২টায় বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেসে। পঞ্চগড়ে পৌঁছাই পরদিন সকাল সাতটায়।

তেঁতুলিয়া থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার ভালো দৃশ্য দেখা যায়। তাই আমাদের গন্তব্য এবার তেঁতুলিয়া। পঞ্চগড়ে পৌঁছে সকালের নাশতা সেরে বাসে রওনা দিলাম। পথিমধ্যে কাঞ্চনজঙ্ঘার চূড়া একনজর দেখার সৌভাগ্য হয়। আমরা সরাসরি তেঁতুলিয়া ডাকবাংলোয় চলে গেলাম। সেখান থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা সবচেয়ে স্পষ্ট দেখা যায়। তাকিয়ে রইলাম অপলক দৃষ্টিতে।

দেশের সর্ব-উত্তরের সীমানা বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট। ডাকবাংলোয় আর বেশিক্ষণ থাকিনি। চলে গেলাম সেখানে, চা-বাগানেও কিছু সময় কাটালাম।
পরদিন ভোর পাঁচটায় আবারও ডাকবাংলোয়। এবার যা দেখলাম, তা সত্যিই বিস্ময়কর। মেঘ আর কুয়াশামুক্ত উত্তর-পশ্চিম আকাশে তাকালে মনে হবে, চোখের সামনেই সাদা পাহাড়। ভোরের আকাশে বরফে আচ্ছাদিত নয়নাভিরাম পর্বতটি দেখা বেশ উপভোগ্য লাগছে। পর্বতটির চূড়া গাঢ় রুপালি চকচকে রূপ ধারণ করেছে। তেঁতুলিয়ার মহানন্দা নদীর পারসহ এমন উঁচু পর্বতশৃঙ্গ চোখের সামনে অপরূপ দৃশ্য তৈরি করেছে।
এর মধ্যেই জানতে পারলাম, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং আঘাত হেনেছে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে। দ্রুত রওনা হলাম বগুড়ার উদ্দেশে।

প্রচার সম্পাদক, পুন্ড্র বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভা