‘তুমি যা-ও যে শুধু তোমারই থাকে
বাড়ি ফিরে এসো
সন্ধে নামার আগে...’
পঙ্ক্তি তিনটি বিদায় ব্যোমকেশ চলচ্চিত্রের একটি গানের। মাঝে মাঝে গানটা শুনি। কাল থেকে ঈদের ছুটি শুরু হচ্ছে। সংগত কারণেই আজ মেট্রোতে তেমন ভিড় ছিল না। কারওয়ান বাজার থেকে মতিঝিল যাওয়ার পথে ২৫–২৬ বছর বয়সী যে তরুণ বসেছিলেন পাশে, মুঠোফোনে কথা বলছিলেন তিনি।
‘যেতেই হবে? কত না স্বপ্ন ছিল! স্বপ্নগুলোর কী হবে?’
অপর পান্ত থেকে যে উত্তর ভেসে এল, তা শোনা না গেলেও চোখে জল দেখে অনুমান করতে কষ্ট হলো না যে উত্তর মনঃপূত হয়নি।
‘যাবেই যখন যাও।’ কথাটা বলে শুরুতে উল্লেখিত গানের লাইন তিনটি কবিতা পাঠের মতো করে বললেন। দুচোখে জলের ধারা দেখে পরিস্থিতি অনুমান করতে কষ্ট হলো না।
তা ছাড়া, যে যায় শিগগিরই সে তো আর ফেরে না। ওই যে রবীন্দ্রনাথ ‘হৈমন্তী’তে বলেছেন, ‘যাহা দিলাম তাহা উজাড় করিয়াই দিলাম। এখন ফিরিয়া তাকাইতে গেলে দুঃখ পাইতে হইবে। অধিকার ছাড়িয়া দিয়া অধিকার রাখিতে যাইবার মতো এমন বিড়ম্বনা আর নাই।’ ব্যক্তিজীবনে পুরুষের চেয়ে নারীরা কথাটা বেশি প্রতিপালন করে থাকেন। ভালোবাসার জন্য হোক কিংবা অন্য যে কারণেই হোক পুরুষ যদিও বা কখনো ফেরে কিন্তু প্রেমিকা, স্ত্রী ভুলেও ভুল এ কাজটি করতে চান না।
আরও নানা বিষয়ে ভাবনা এল মনে। কিন্তু নিয়তি নিজের নিয়মে পথ তৈরি করে নেয়। স্টেশনে নামতেই মেঝেতে ঢলে পড়লেন তরুণ...
চলবে...