গ্রীষ্ম শেষে আষাঢ় এসে বর্ষা শুরু দেশে,
নতুন সাজে নতুন রূপে ঋতুর রানি বেশে।
কখনো মেঘ, কখনো রোদ হঠাৎ নামে ঝড়,
দমকা বায়ু অশনি এলে হৃদয়ে জাগে ডর।
রিনিঝিনি যে বৃষ্টি ঝরে সারা শ্রাবণ মাসে,
জলের মাঝে খুশিতে খেলে ডুবে বেড়ায় হাঁসে।
নব পানিতে মাছেরা ছোটে পুকুরজলে ভাসে,
কদম ফুল জানান দেয় বর্ষাকাল হাসে।
গাঁয়ের ছেলে আমোদে মাতে ফুটবল যে নিয়ে,
সবুজ ঘাসে ভেজানো মাঠে খেলবে কাদা দিয়ে।
ছেলেরা সব কলাগাছের গড়ে সাধের ভেলা,
পুলকে মেতে ওঠে কিশোর ঝাঁপিয়ে করে খেলা।
শ্রাবণধারা বহে যখন ভরে তটিনী–বিল,
যেদিকে দেখি, জলপ্রবাহ কানায় ভরে ঝিল।
বাদলা দিনে এমন ক্ষণে গাইব সুরে গান,
মন মাতানো পবন এসে জুড়িয়ে দেবে প্রাণ।
কামিনী, কেয়া, কৃষ্ণচূড়া নানা রকম ফুল,
মর্মদেশে প্রণয় জাগে বরষারূপ মূল।
রংধনুর সাতটি রঙে কিরণ এসে পড়ে,
চমৎকার চিত্র দেখে হর্ষধারা ঝরে।