সেদিন বাংলাদেশের ফুটবল নিয়ে কী বলেছিলেন ফিফা প্রেসিডেন্ট

খলিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর সঙ্গে কাতারপ্রবাসী বাংলাদেশি ফাটোসাংবাদিক আবজল আহমদছবি: সংগৃহীত

২৭ নভেম্বর ২০২৫। কাতারের দোহায় ঐতিহ্যবাহী ভেন্যু খলিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে তখন চলছিল ফিফা অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ। পর্তুগাল বনাম অস্ট্রিয়ার মধ্যকার উত্তেজনাপূর্ণ খেলায় ১-০ গোলে শিরোপা জয় করে পর্তুগিজরা। এর পরপরই শুরু হয় ট্রফি বিতরণের জমজমাট পর্ব।

এরই ফাঁকে মাঠে দায়িত্বরত বিশ্বের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের ফটোগ্রাফারদের শুভেচ্ছা জানাতে আসেন ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। সেখানে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন দুজন কাতারপ্রবাসী বাংলাদেশি ফাটোসাংবাদিক আবজল আহমদ ও নাহিদ ইসলাম। দুজনই কাতার বন্ধুসভার সদস্য। এ সময় ফিফা প্রেসিডেন্ট ইনফান্তিনোকে আবজল আহমদ বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশি, বাংলাদেশের ফুটবল নিয়ে আপনি কিছু বলুন।’

উত্তরে ফিফা প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি আশাবাদী, বাংলাদেশ ফুটবল আরও এগিয়ে যাক। আমরা বিশ্বকাপে বাংলাদেশের খেলা দেখার অপেক্ষায়। খুব সংক্ষিপ্ত এই কথোপকথন ভিডিওতে ধারণ করেন নাহিদ ইসলাম। পর মুহূর্তে তা ছড়িয়ে পড়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমগুলোতে।

এ বিষয়ে নিজের অনুভূতি জানাতে গিয়ে আবজল আহমদ বলেন, ‘খুব কঠোর নিরাপত্তাবেষ্টনীতে মাত্র কয়েক মুহূর্তের জন্য ফিফা প্রেসিডেন্ট আমাদের সঙ্গে ছিলেন। এ সময় তাঁর কাছে বাংলাদেশের ফুটবল নিয়ে আমি প্রশ্নটি করেছিলাম। মূলত এটি বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমী সবারই জানতে চাওয়া বলে আমি মনে করি। বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার সর্বোচ্চ ব্যক্তির কাছ থেকে এমন মন্তব্য শুনে আমি বেশ আনন্দিত। মনে হচ্ছিল, তিনিও আন্তরিকভাবে চান বাংলাদেশ প্রতিনিয়ত ফুটবলের বিশ্বমঞ্চে এগিয়ে যাক এবং বিশ্বকাপের মঞ্চে জায়গা করে নিক।’

ফিফা অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয় পর্তুগাল
ছবি: আবজল আহমদ

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘অপ্রত্যাশিতভাবে আমরা ফিফা প্রেসিডেন্টকে কাছে পেয়ে যাই এবং বাংলাদেশের ফুটবল নিয়ে তাঁর আশাবাদের কথা শুনে আমরা ভীষণভাবে অনুপ্রাণিত হই। প্রবাসে থেকেও আমাদের হৃদয়জুড়ে বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের ফুটবলের প্রতি যে ভালোবাসা সব সময় জাগ্রত থাকে, এই ভিডিও সেটিরই প্রমাণ বহন করছে।’

আবজল আহমদ কাতার বন্ধুসভার উপদেষ্টা এবং নাহিদ ইসলাম প্রশিক্ষণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে তাঁরা কাতারে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ইভেন্টে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে অংশগ্রহণ করে আসছেন। ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২–এর আগে ও পরে দোহায় ফুটবলসহ অন্যান্য খেলাধুলার আসরে তাঁদের মতো আরও অনেক বাংলাদেশি স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে নিয়মিত দায়িত্ব পালন করে আসছেন।