ফিরে এল গাইবান্ধার ফুটবল উন্মাদনা

গাইবান্ধা জেলা স্টেডিয়ামে ফুটবলপ্রেমীদের উচ্ছ্বাসছবি: সংগৃহীত

শুক্রবার, ১১ জুলাই দিনটা ছিল এক স্বপ্নের মতো। অনেক দিন পর গাইবান্ধা জেলা স্টেডিয়াম ফুটবলপ্রেমীদের উচ্ছ্বাসে যেন মেতে উঠল আবারও। গোটা শহর যেন নেমে এসেছিল গ্যালারিতে। যেখানে চোখ ফেরানো যায়, শুধু মানুষ আর মানুষ। গ্যালারি তো পূর্ণ ছিলই, ইনডোরের ছাদ, স্টেডিয়ামের ছাদ, মাঠের ভেতরের চারপাশেও মানুষ দাঁড়িয়ে দেখছিল খেলা। এতটা ভালোবাসা, এতটা উন্মাদনা গাইবান্ধায় আগে কখনো দেখিনি।

জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচে গোবিন্দগঞ্জ ও গাইবান্ধা পৌরসভা দল মুখোমুখি হয়েছিল। ম্যাচের প্রথম মিনিট থেকেই উত্তেজনার পারদ চড়তে থাকে। গোলের পর গোল, শ্বাসরুদ্ধকর টাইব্রেকার, আর সর্বশেষে বিজয়ের উল্লাস—সব মিলিয়ে এক আনন্দঘন দিন পার করল গাইবান্ধাবাসী।

গোবিন্দগঞ্জ দলের টাইব্রেকারে ৪-৩ ব্যবধানে জয়লাভ গোটা উপজেলার জন্য এক গৌরবময় মুহূর্ত হয়ে থাকল। কিন্তু সত্যিকারের জয়ী ছিল গাইবান্ধার সাধারণ মানুষ। যারা হাজার হাজার কণ্ঠে গলা মিলিয়ে একসঙ্গে চিৎকার করেছে, উল্লাস করেছে, ভালোবেসেছে ফুটবলকে।

এই অসাধারণ আয়োজনের পেছনে জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমদ, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য এবং সব স্বেচ্ছাসেবক ও আয়োজক কমিটিসহ যাঁরা নীরবে-নিভৃতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন, তাঁদের প্রতি অকৃত্রিম কৃতজ্ঞতা।

গাইবান্ধা আজ শুধু প্রশাসনিক জেলা নয়, এটা ক্রীড়া সংস্কৃতির কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠছে। মাঠে মাঠে, গ্যালারিতে, মানুষের হৃদয়ে আবার প্রাণ ফিরছে। বিশ্বাস করি, এ ধারা অব্যাহত থাকলে গাইবান্ধা একদিন জাতীয় পর্যায়ে ক্রীড়া ক্ষেত্রে দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।

ফুটবলের প্রতি মানুষের এই ভালোবাসাকে ছড়িয়ে দিতে হবে। তরুণদের মধ্যে ফিরিয়ে আনতে হবে মাঠে ফেরার আগ্রহ, খেলাধুলার প্রতি ভালোবাসা। এই একটি আয়োজন প্রমাণ করেছে মানুষ চায় খেলাধুলা, চায় প্রাণবন্ততা।

সহসভাপতি, গাইবান্ধা বন্ধুসভা