জীবনের নবায়ন

শাহীন চৌধুরীর বই ‘গ্রেটওয়াল থেকে নায়াগ্রা’

শাহীন চৌধুরী একজন আলোকিত ও সমৃদ্ধ মানুষ। একজন মানুষ কত দিন বেঁচে থাকল, সেটা বিষয় নয়। তাঁর বেঁচে থাকা দিনগুলো কতটা বৈচিত্র্যপূর্ণ, সেটাই বিষয়। সেদিক থেকে শাহীন চৌধুরী একজন সফল মানুষ। নব্বইয়ের দশকের গোড়ার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা সাহিত্যে পড়াশোনা করেন। পেশাগত জীবন শুরু সাংবাদিকতা দিয়ে। তিন দশকের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা করছেন। এ পর্যন্ত ১০টির বেশি দৈনিক ও অনলাইন পত্রিকায় কাজ করেছেন। পেশাগত কারণে আমেরিকা, ইউরোপসহ বিশ্বের ৩৫টি দেশে শতাধিকবার ভ্রমণ করেছেন। লালনের গানে আছে, এমন মানব জীবন আর হবে না। তিনিও তা–ই মনে করেন। যা করতে হবে, এক জীবনেই। নিরবধি সেভাবেই নিজেকে প্রস্তুত করেন।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ, এমডিজি সামিট, ওয়ার্ল্ড এনার্জি কংগ্রেস, সার্ক সামিটসহ অনেক আন্তর্জাতিক ইভেন্ট কাভার করেছেন শাহীন চৌধুরী। একজন দার্শনিক বলেছিলেন, নিজের কাজটি ঠিকভাবে করাই শ্রেষ্ঠ দেশপ্রেম। শাহীন চৌধুরীকে যতটুকু জানি, তিনি সব সময় নিজের কাজটি ঠিকভাবে করার চেষ্টা করেছেন। তিনি অসম্ভব ভালো সংগঠকও। জাতীয় প্রেসক্লাব, ডিইউজে, বিএফইউজে, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, পার্লামেন্ট জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশনসহ নানা সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত।

শাহীন চৌধুরী
ছবি: সংগৃহীত

কালজয়ী সাহিত্যিক তলস্তয় বলতেন, যে নিজের কষ্ট বোঝে, সে জীবিত। আর যে অন্যের কষ্ট বোঝে, সে মানুষ। শাহীন চৌধুরী সারা জীবন মানুষকে নিয়ে ভাবেন। মানুষের জন্য কাজ করে যান। নিরন্তর স্বপ্নের পেছনে ছুটতে থাকেন। তিনি মনে করেন, ছোট স্বপ্ন অপরাধের মতো। তাই মানুষের কল্যাণে বড় স্বপ্ন নিয়ে কাজ করতে চান। তিনি জানেন, আজকের জীবন আর কালকের জীবন এক নয়। প্রতিদিন জীবনকে নবায়ন করতে হয়।

শাহীন চৌধুরী লেখালেখি করেন খুব ছোটবেলা থেকে। বইমেলার বিভিন্ন স্টলে তাঁর বই রয়েছে। তাঁর কাব্য, উপন্যাস, প্রবন্ধ, ভ্রমণকাহিনি, লোক, রাজনৈতিক গ্রন্থসহ বিভিন্ন প্রকাশনা রয়েছে।

লেখক, সাংবাদিক ও সংগঠক