দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে চোখের সামনে নিশ্চিত মৃত্যুর কালো ছায়ামূর্তিকে দণ্ডায়মান দেখে কেউ কি স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারে? স্টিফেন হকিং পেরেছিলেন। আর পাঁচজন স্বাভাবিক মানুষ যেভাবে জীবনযাপন করে, ঠিক সেভাবেই করে গেছেন এই জীবনরসিক মানুষটি। চলন শক্তিহীন হয়েও হীনম্মন্যতায় ভোগেননি; বরং নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন মহাবিশ্বের সৃষ্টি-রহস্য উন্মোচনে। দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে, পঙ্গুত্ব বরণ করেও জীবনকে ভালোবাসতে পেরেছিলেন। ভালোবেসেছিলেন বিশ্বব্রহ্মাণ্ডকে। তিনি ছাড়া আর কোনো বিজ্ঞানী কিংবা ভাবুক কী হকিংয়ের মতো এমন স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পেরেছিলেন? দুঃখ-অপ্রাপ্তির গাঢ় বেদনা মেনে নিয়ে সেই সব বিজ্ঞানী-কবি-ভাবুক কি নির্দ্বিধায় পেরেছিলেন, ‘এই করেছ ভালো, নিঠুর,/ এমনি করে হৃদয়ে মোর/ তীব্র দাহন জ্বালো...’।
আপাদমস্তক আস্তিক, ঈশ্বরপ্রেমী রবীন্দ্রনাথ দীর্ঘ ৮১ বছরের জীবন পরিক্রমা পার করেও কি মৃত্যুকে স্বাভাবিক চিত্তে মেনে নিতে পেরেছিলেন? রবীন্দ্রনাথ, বার্ট্রান্ড রাসেল, পিকাসো, নেহরু, চার্চিল—কেউ কি সহজ-সরল চিত্তে মৃত্যু নামক কঠিন সত্যকে মেনে নিতে পেরেছিলেন? পারেননি। রবীন্দ্রনাথও নাকি মৃত্যুর আগে শিশুর মতো কেঁদেছিলেন। খুব জানতে ইচ্ছা করে, এ পি জে আবদুল কালাম, জামিলুর রেজা চৌধুরী, আনিসুজ্জামানের মতো বড় মাপের মানুষেরা মৃত্যুভয় জয় করতে পেরেছিলেন কি না? তবে হকিং মৃত্যুভীতি জয় করতে পেরেছিলেন। কীভাবে যে তিনি মৃত্যুভীতি জয় করেছিলেন, সেই ভেবে কূল-কিনারা হারিয়ে ফেলি। তাঁর পানে চেয়ে বিস্ময়ে বিহ্বল হয়ে যাই। কূল-কিনারা না পেয়ে, কেবল রবীন্দ্রনাথের গানের ভেলায় ভাসতে থাকি ঘোরলাগা আচ্ছন্নতা নিয়ে;
‘মহাবিশ্বে মহাকাশে মহাকাল-মাঝে/ আমি মানব একাকী ভ্রমি বিস্ময়ে, ভ্রমি বিস্ময়ে...।’
সত্যি, স্টিফেন হকিং মহাবিশ্বের এক বিস্ময়কর ব্যক্তিত্ব। মানুষের চিন্তার ইতিহাসে তিনি এক অতি বিস্ময়কর প্রকৃতিদ্রষ্টা। না হলে যাঁর এত অসাধারণ প্রতিভা, এত জ্ঞান-গরিমা, এত রসবোধ, তিনি কেন কম বয়সে চলন শক্তি হারালেন? প্রকৃতির নির্মম খেলা! এটা কি তাঁর কর্মফল, নাকি ভাগ্যবিধাতা কর্তৃক পূর্বনির্ধারিত? নাকি পূর্বজন্মের পাপ? যদি সবকিছু পূর্বনির্ধারিত হয়ে থাকে, তাহলে মানুষের তো কিছু করারই থাকে না! হাজারো প্রশ্নের সুতীক্ষ্ণ ফলায় ভেতরটা ক্ষতবিক্ষত হয় বারবার, কিন্তু উত্তর খুঁজে পাই না। আমি বিজ্ঞানের শিক্ষক নই, তারপরও এই বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানীর প্রতি একধরনের টান অনুভব করি। হয়তোবা উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত বিজ্ঞান পড়েছি, তা-ই!
স্টিফেন হকিংয়ের বইয়ের সঙ্গে প্রথম পরিচয় ঘটে ১৯৯৯ সালের জানুয়ারিতে, যখন মেহেরপুর সরকারি কলেজে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করি। তখন আমার জীবনে এক নতুন পর্ব শুরু হয়েছে। একঝাঁক মেধাবী তরুণ সে সময় মেহেরপুর কলেজে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেছিল। তাঁরা কেউ সাহিত্য পড়ান, কেউ বিজ্ঞান, কেউবা অর্থনীতি-দর্শন-রাজনীতি। কিন্তু সবাই ছিলেন বিজ্ঞানমনস্ক, যুক্তিবাদী ও অনুসন্ধিৎসু। চাকরি নিয়ে কেউ সুখী ছিলেন না। প্রায় সবার মধ্যে একধরনের দুঃখ-হতাশা কাজ করত। আমাদের সহকর্মী সিদ্ধার্থ শঙ্কর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলোসফিতে ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হয়েও কেন নিজ ডিপার্টমেন্টে শিক্ষক হতে পারলেন না, এ নিয়েও আমাদের মধ্যে ক্ষোভ-দুঃখ ছিল। দুঃখ হতো, রাজ্জাক ভাই কেন মেডিকেল সায়েন্স ছেড়ে বাংলা সাহিত্য পড়তে গেলেন? কিন্তু সব ক্ষোভ-দুঃখ, সব ব্যথা-বেদনা ভুলে যেতাম, যখন আমরা ক্লাসের পর মিলিত হতাম শিক্ষক লাউঞ্জে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা তুমুল তর্ক চলত শিক্ষক লাউঞ্জে। কখনো বিজ্ঞান-কবিতা, সাহিত্য-দর্শন নিয়ে; কখনোবা চাকরি-বাকরি, ব্যবসা-বাণিজ্য কিংবা আন্তর্জাতিক রাজনীতি নিয়ে। তর্ক হতো মহাবিশ্বের সীমা-পরিসীমা নিয়ে। কেউ কেউ প্রশ্ন করতেন, মহাবিশ্ব কোথা থেকে এল? মহাবিশ্ব কি কখনো সৃষ্টি হয়েছে? আর কেনই-বা সৃষ্টি হয়েছে? না সৃষ্টি হলেই বা কী হতো? মহাবিশ্বের সবকিছু কী পূর্বনির্ধারিত? ঝড়-বৃষ্টি, বন্যা-মহামারি, কখন কোনটা আসবে, আগে থেকেই ঠিক করা আছে? মহাবিশ্ব নিয়ে কেউ কি পাশা খেলছেন? ‘সময়’ কী কখনো পশ্চাদ্গামী হতে পারে? এই মহাবিশ্ব কেনই-বা টিকে আছে? মানুষ ও প্রকৃতির রূপ যেমন দেখছি, তা এ রকম হলো কেন? অন্য রকমও তো হতে পারত—কত রকমের প্রশ্ন!
একদিন স্টিফেন হকিংয়ের আ ব্রিফ হিস্ট্রি অব টাইম হাতে পেয়ে চোখের সামনে টানানো পর্দাটা সরে গেল। মহাবিশ্ব সম্পর্কে নতুন করে কৌতূহল জেগে উঠল মনের ভেতরে। বিজ্ঞান ও মহাবিশ্ব সম্পর্কে আমার এত কৌতূহল ছিল যে নানা প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করতাম তর্কের আসরকে। খুব সম্ভবত বিজ্ঞানমনস্ক-যুক্তিবাদী সহকর্মীদের নিবিড় সান্নিধ্য ও হকিংয়ের বই আমাকে কৌতূহলী করে তুলেছিল। বিজ্ঞানের বই হলেও কোনো ভারী বই নয়, জনপ্রিয় বই বলতে যা বোঝায়, তেমনটিই ছিল এটি। লেখক হিসেবে হকিং এমন ধরনেরই একটি বই লিখতে চেয়েছিলেন; যেটা পথেঘাটে সর্বস্তরের মানুষ পড়তে পারবে। হকিংয়ের মূল টেক্সটা আমার পড়া হয়নি। পঠিত বইটি ছিল শত্রুজিৎ দাশগুপ্তের ভাষান্তর। শত্রুজিৎ দাশগুপ্তের অনুবাদ গ্রন্থটি পড়ে জানতে পারলাম, মহাবিশ্ব ক্রমাগত সম্প্রসারিত হচ্ছে। আর এই সম্প্রসারণের হার ক্রমে বেড়েই চলেছে। আরও জানতে পারলাম যে মহাবিস্ফোরণের মাধ্যমে মহাবিশ্বের সৃষ্টি এবং আরেক মহা দুর্ঘটনার মধ্য দিয়ে এর বিনাশ হবে। কিন্তু ‘সময়’ নিরবধি চলতে থাকবে। জগৎ ও তার সৃষ্টি-রহস্য সম্পর্কে জানতে গিয়ে আ ব্রিফ হিস্ট্রি অব টাইম-এ এমন এক হকিংয়ের সন্ধান পেলাম, যিনি একাধারে প্রতিভাবান বিজ্ঞানী ও তীব্র রসবোধসম্পন্ন লেখক। তাঁর কাছে মহাবিশ্ব যেন এক পরিহাসময় ঠাট্টা। বইয়ের পাতায় পাতায় ঈশ্বর আছেন। কিন্তু সেই ঈশ্বর ইহুদি বা খ্রিষ্টধর্মের ঈশ্বর নন। আবার দর্শনের ঈশ্বরও নন। তিনি যে ঈশ্বরের কথা বলেছেন, সে ঈশ্বর আসলে বিজ্ঞানের ‘নৈর্ব্যক্তিক ঈশ্বর’। এই ঈশ্বর আসলে কিছুই করেন না। তিনি আছেন মহাবিশ্বের এক প্রান্তে, যিনি সবকিছু পরিচালনা করেন সূত্র অনুসারে। যে ঈশ্বর ছয় দিনে বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টি করে সপ্তম দিনে বিশ্রাম নেন, তেমন ঈশ্বরের কথা তিনি বলেননি।
স্টিফেন হকিংয়ের বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে ভারতীয় সাংখ্য দর্শনের খানিকটা মিল খুঁজে পাওয়া যায়। সাংখ্য দর্শনে বলা হয়েছে, প্রকৃতির বিবর্তনের মধ্য দিয়ে মহাবিশ্ব ও জীবজগৎ সৃষ্টি হয়েছে। এক অনিবার্য কারণে মহাবিশ্ব সৃষ্টি হয়েছে এবং স্থিতিকালের সমাপ্তিতে এর প্রলয়ও অনিবার্য। প্রলয়ের পর আবারও নতুন করে মহাবিশ্ব সৃষ্টি হতে পারে। প্রলয় কিংবা সৃষ্টি প্রক্রিয়ায় ঈশ্বর হস্তক্ষেপ করেন না, স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে সবকিছু সম্পন্ন হয়। এটাই সাংখ্য দর্শনের সারমর্ম। আসলে হকিংয়ের মহাবিশ্ব সৃষ্টি সম্পর্কীয় তত্ত্ব মানলে সাংখ্য দর্শনের বিবর্তনবাদ মানতে হয়। পদার্থবিদ্যা ও গণিতের সূত্র প্রয়োগ করেও বলা যায়, মহাবিশ্বে যা কিছু হচ্ছে, তা নিয়ম অনুসারেই হচ্ছে। এটা যেন চালু করা বিরাট কম্পিউটার; অনবরত প্রোগ্রাম মেনে কাজ করে চলেছে। যেন মহাবিশ্বে মহাকাশে সর্বত্র গাণিতিক নিয়মের জয়ডঙ্কা। পৃথিবীতে যা ঘটছে, তার সবই পূর্বনির্ধারিত। সেই অর্থে, বিশ্বব্রহ্মাণ্ডটা একটা নিয়মের আধার, নিয়মের বাইরে কিছু হয় না। ফসল বোনা, ফসল কাটা, নক্ষত্রের গতিবিধি, চন্দ্রগ্রহণ, সূর্যগ্রহণ—সবই নিয়মমাফিক হয়। ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ, কৃত্রিম উপগ্রহ বা স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ, মহাকাশে নভোযান প্রেরণ—সবই অঙ্ক কষে নিয়ম অনুসারে করা হয়। ঘরে বসেই আমরা বলে দিতে পারি কখন বৃষ্টি হবে, কখন ঝড় হবে। আম্পান বা যশ কটার সময় সমুদ্র-উপকূলে আঘাত হানবে, কটার সময় কলকাতা মহানগর তছনছ করবে। আহ্নিক গতি, বার্ষিক গতি, নক্ষত্রের পতন, ঋতু পরিক্রমা—সবই আসলে নিয়মমাফিক সুসম্পন্ন হয়। কোভিড-১৯-এর আবির্ভাবও প্রাকৃতিক নিয়মেই হয়েছে। প্রকৃতির অমোঘ নিয়মের কাছে পরাস্ত হয়ে করোনাভাইরাসের বিদায়ঘণ্টা বাজবে। সবকিছুই নিয়মমাফিক, নিশ্চিত এবং এক অর্থে পূর্বনির্ধারিত। মহাবিশ্বের কোথাও অনিয়ম বা অনিশ্চয়তা নেই। ‘ছন্দে উঠিছে চন্দ্রিমা, ছন্দে উঠিছে রবি তারা।’ প্রকৃতির রাজ্যে যেহেতু অনিয়ম নেই, তাহলে সমাজ বা রাষ্ট্রীয় জীবনে অনিয়ম থাকবে কেন? অনিয়ম হলেই বিপর্যয় ঘটবে।
হকিং একবার রসিকতা করে বলেছিলেন, ‘ঈশ্বর কি পাশা খেলেন?’ না, তিনি পাশা খেলেন না। তিনি যদি পাশা খেলতেন, তাহলে সূর্যোদয় কিংবা সূর্যাস্ত নিয়ম অনুসারে সংঘটিত হতো না। তিনি যদি পাশা খেলতেন, তাহলে ঋতু পরিক্রমায় গোলমাল সৃষ্টি হতো। বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের কোথাও নিয়মের বিচ্যুতি নেই, কেবল কিছু কিছু যুক্তিহীন মানুষ গায়ের জোরে নিয়মকানুনের ব্যত্যয় ঘটাতে চায়! তাই বস্তুর গতিপ্রকৃতি একবার বুঝে ফেলতে পারলে সবকিছু নির্ভুলভাবে অঙ্ক কষে বের করা যায়। যার মধ্যে গাণিতিক জ্ঞান, সমাজতাত্ত্বিক বিচক্ষণতা ও বিজ্ঞানমনস্কতা রয়েছে, সে খুব সহজেই বলে দিতে পারবে, জো বাইডেন, ভ্লাদিমির পুতিন, এরদোয়ান ও নরেন্দ্র মোদির রাজনৈতিক ভবিতব্য কী হবে? আগামী দিনের বিশ্বরাজনীতি, অর্থনীতি, শেয়ারবাজার, শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি, জেলেনস্কির ভাগ্য, বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির হার কোথায় গিয়ে ঠেকবে, তা-ও ব্যাখ্যা করতে পারবে। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ভবিষ্যৎ কী, তা-ও আগাম বলে দেওয়া যাবে। বিশ্বনিখিলের সর্বত্র যে নিয়মের বীণা বেজে চলেছে, তার ব্যাকরণ যদি আবিষ্কার করা যায়, তাহলে আগামী দিনের দুনিয়া কেমন হবে, তা অনায়াসে ব্যাখ্যা করা যাবে। নিউটন-আইনস্টাইন-হকিংয়ের মতো বিজ্ঞানীরা বিশ্বজগতের রহস্য ব্যাখ্যা করেছেন গণিত-পদার্থবিজ্ঞান, তথা বিজ্ঞানের সূত্র প্রয়োগ করে। আর মির্জা গালিব-আল্লামা ইকবাল-রবীন্দ্রনাথের মতো কবি-দার্শনিকেরা ওই একই কাজ করেছেন দার্শনিক উপলব্ধি ও চিন্তাধারার সাহায্য নিয়ে। বিশ্বপ্রকৃতির নিগূঢ় রহস্য পদার্থবিজ্ঞানের সূত্র প্রয়োগ করেও ব্যাখ্যা করা যায়। আবার মেটাফিজিকস-ফিলোসফির জ্ঞান দিয়েও করা যায়। বিভিন্ন বিভাগের সীমাবদ্ধতা অনুধাবন করে অ্যারিস্টটল দৃশ্যমান জগতের নিগূঢ় রহস্য ব্যাখ্যার জন্য পদার্থবিজ্ঞানের পাশাপাশি মেটাফিজিকস বইটি রচনা করেন। পদার্থবিজ্ঞান ও সাংখ্য দর্শনে ঈশ্বরকে প্রাধান্য দেওয়া হয়নি। বিজ্ঞানী হকিংয়ের নিরাসক্ত মন ফিলোসফি বা মেটাফিজিকস বুঝতে চায়নি। ফলে প্রতিভাধর বিজ্ঞানী হয়েও হকিং ঈশ্বরের সন্ধান পাননি। ঈশ্বরের সন্ধান যদি পেতেন, তাহলে নিশ্চয় ফিলোসফির নির্ধারণবাদ ও বিজ্ঞানের বিবর্তনবাদের মধ্যে মিল খুঁজে পেতেন। আসলে দুটি জিনিসই এক, যেটুকু অমিল রয়েছে, তা কেবল ব্যাখ্যাগত অমিল। বিজ্ঞানের মতো ফিলোসফিরও কোনো জাত নেই, শত্রু-মিত্র নেই। এরা অনেকটা প্রমোদবালাদের মতো। যথোচিত পাওনা পেলে এরা প্রেম দেয়, সেবা দেয়। জগতের জন্মরহস্য ও ভবিতব্য সম্পর্কে ব্যাখ্যা হকিংয়ের মতো বিজ্ঞানের সূত্র প্রয়োগ করেও করা যায়, আবার দর্শন দিয়েও করা যেতে পারে।
সভাপতি, মেহেরপুর বন্ধুসভা ও সহযোগী অধ্যাপক, মেহেরপুর সরকারি কলেজ