বাবা, কম–বেশি বলার মতো কত কথাই হয় প্রতিদিন তোমার সঙ্গে। কিন্তু অনেক না–বলা কথা জমে আছে ভেতরে। মনে মনে রোজ বলি, কিন্তু কোনো দিন সাহস হয়ে ওঠে না সামনাসামনি বলার।
আমার জীবনের আদর্শ তুমি। জীবনে কত ভুল, কত অন্যায় করেছি—সবকিছু তুমি কত সহজে মেনে নাও। খুঁটির মতো পাশে দাঁড়িয়ে থাকো যেকোনো কঠিন পরিস্থিতিতে। কষ্ট পাও, দুঃখী হও, তারপরও কখনো পাশ থেকে সরো না।
এদিকে–সেদিকে কত বক্তব্য ও সেমিনার করে বেড়াই। কিন্তু তোমার সামনে মুখ ফুটে কখনো বলার সাহস হয়ে ওঠে না, বাবা, তোমাকে আর মাকে পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি। তোমাদের গুরুত্ব আমার কাছে সবার আগে।
আজ পর্যন্ত কতবার চেষ্টা করেছি, তোমাকে একটু গর্ববোধ করাতে। প্রতিবারই কোনো না কোনোভাবে ব্যর্থ হয়েছি। ভুল করে বরং পরিস্থিতি আরও খারাপ করে ফেলেছি, নতুন করে সমস্যার সৃষ্টি করেছি, তোমাদের কষ্ট দিয়েছি। প্রতিবার তুমি ব্যর্থতাগুলো মেনে নিয়েছ। উল্টো আমাকেই সামলেছ। কখনো পাশে বসে ধন্যবাদ বলার সাহসটাও জোগাতে পারিনি।
আমাকে আর একটু সময় দিয়ো বাবা। নিজের পায়ে একবার দাঁড়িয়ে যাই। কথা দিচ্ছি, রাজাকে তাঁর পাপ্য সিংহাসনে বসাবই, তোমাকে রাজার মতো করে রাখবই। আর বিধাতার কাছে চাওয়া একটা, আবার যদি কখনো পৃথিবীতে জন্ম নিতে হয়, প্রতিবার যেন বাবা হিসেবে তোমাকেই পাই।
সহসভাপতি, কুষ্টিয়া বন্ধুসভা