কেমন চলছে চা-বাগানে স্থাপিত সিলেট বন্ধুসভার পাঠাগার
বই মানুষের শ্রেষ্ঠ বন্ধু। দেশ, সমাজ, জাতি ও সম্প্রদায়কে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে প্রতিটি এলাকায় একটি পূর্ণাঙ্গ পাঠাগারের বিকল্প নেই।
২০২৪ সালে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পাশে লাক্কাতুরা চা-বাগানে সিলেট বন্ধুসভা প্রতিষ্ঠা করে প্রথম পাঠাগার। পাঠাগারটি লাক্কাতুরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্থাপন করা হয়।
প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯০২ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও, চা-শ্রমিকদের ১৭০ টাকা মজুরির মতো জীর্ণতা যেন এই বিদ্যালয়ের পিছু ছাড়েনি আজও। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার ১২৩ বছর পার হলেও ব্যয়বহুল জীবনের জাঁতাকলে চা-শ্রমিকদের বাচ্চাদের জন্য মৌলিক অধিকার শিক্ষা আজও বিলাসিতা।
সিলেট বন্ধুসভার উপহার দেওয়া ‘বন্ধু পাঠাগার’টির রক্ষণাবেক্ষণ ও বিবিধ বিষয় সম্পর্কে জানতে ২৩ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার প্রচার সম্পাদক প্রত্যাশা তালুকদার ও সাধারণ সম্পাদক শ্রেয়ান ঘোষ প্রাথমিক বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক বাবলী তানবুলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
বাবলী তানবুল বলেন, ‘পাঠাগারটি স্থাপনের পর অনেক শিক্ষার্থী বিদ্যালয়মুখী হয়েছে। পাঠাগার থেকে বই নেওয়ার পর আমরা পাশে তাদের নাম লিখে রাখি, শিক্ষার্থীরা নিজ দায়িত্বে, সততার সঙ্গে বইগুলো আমাদের পাঠাগারে ফিরিয়ে দেয়।’
ভাবতেও অবাক লাগে যে, মাত্র দুটি কক্ষ নিয়ে বিদ্যালয়টির অবকাঠামো নির্মিত। অবকাঠামোসংকটের কারণে একই কক্ষে দুটি ভিন্ন শ্রেণির ক্লাস হয়, কিন্তু শিক্ষার্থীর সংখ্যা শতাধিক। এসব দেখার জন্য যেন কেউ নেই। প্রধান শিক্ষক ছাড়াও মাত্র একজন শিক্ষক বিনা বেতনে এই বিদ্যালয়ে পাঠদান করে যাচ্ছেন। প্রধান শিক্ষক বাবলী তানবুলের বাবাও এই স্কুলের অবৈতনিক শিক্ষক ছিলেন।
পাঠাগারটি স্থাপনের পর এলাকার শিশু-কিশোরদের পড়ালেখার প্রতি আগ্রহ বেড়েছে বলে এক অভিভাবক জানান।
সাধারণ সম্পাদক, সিলেট বন্ধুসভা