আব্বারা ঠিকই বোঝেন

ছবি: এআই/বন্ধুসভা

বৃষ্টি হচ্ছিল সেদিন। জানালার কাচে টুপটাপ করে পড়ছিল ফোঁটা। চুপচাপ বসে ছিলাম ঘরের এক কোণে। আব্বা দরজার সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন, ভিজে গামছায় মুখ মুছছিলেন। বাইরে থেকে ফিরেছেন, কিন্তু মুখে ক্লান্তির চেয়ে বেশি ছিল চিন্তার রেখা। আমি বললাম না কিছুই। প্রতিদিনের মতোই নীরব সেই দূরত্ব।

আব্বা সব সময় শক্ত, গম্ভীর। চিৎকার করে কথা বলেন না, কিন্তু কথাগুলো এমন কড়া হয় যেন পাথরের মতো আঘাত করে। ভাবতাম, উনি বোঝেন না আমাকে। বুঝতে চান না। কিন্তু একদিন আমার ধারণা বদলে গেল।

কলেজে একটা প্রজেক্টের জন্য ফাইল প্রিন্ট করানো দরকার ছিল। আব্বাকে কিছু বলিনি। বিকেলে বাসায় ফিরে দেখি টেবিলে সেই ফাইল, প্রিন্ট করে রাখা। পাশে একটা ছোট্ট চিরকুট—
‘তুই তো বলিস না কিছু, কিন্তু আমি জানি—তোর দরকার ছিল। সব সময় না বললেও আমি পাশে আছি।—আব্বা’

সেদিন বুঝতে পারলাম আব্বারা কখনো বন্ধুর মতো হন না ঠিকই, কিন্তু তাঁদের ভালোবাসা নিঃশব্দ। এখনো ওনাকে সব বলতে পারি না। তাই আজ আব্বাকে বলতে চাই, আমি আপনাকে ঠিকভাবে বুঝতে পারি না। তবে ভালোবাসি অনেক। আপনি আমার জীবনের নায়ক।

১৫ নং সেক্টর, উত্তরা, ঢাকা