একটি বিকেল, কিছু শব্দ আর লেখালেখির জাদু
২৮ মে, বিকেল ৪টা ৩০ মিনিট। প্রস্তুত হয়ে বসে আছি হাতে মুঠোফোন ও কলম নিয়ে, পাশে খাতার পাতা খোলা। একটু পরই শুরু হলো প্রথম আলো বন্ধুসভার ভার্চ্যুয়াল লেখালেখি কর্মশালার প্রথম পর্ব। আজ শেখা হবে ফিচার লেখা।
কর্মশালায় প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক সুমনা শারমীন। সাংবাদিকতা, ভাষা ও অনুভব—এই তিনের সমন্বয়ে তিনি যে মুগ্ধকর শিক্ষার জগৎ খুলে দিলেন আমাদের সামনে, তা যেন লেখালেখির এক নতুন আলোয় উদ্ভাসিত করল।
প্রথমেই সুমনা শারমীন বললেন, একটা ভালো শিরোনাম দিয়েই শুরু। কারণ, পাঠক লেখার ভেতরে প্রবেশ করেন শিরোনামের হাত ধরে। তা হতে হবে এমন, যাতে চোখ আটকে যায় এবং হৃদয়ে কৌতূহল জাগে। এরপর ইন্ট্রো, যেটা লেখার প্রাণ। অল্প কিছু শব্দে এমন আকর্ষণ তৈরি করতে হবে, যা পাঠককে ধরে রাখবে পরবর্তী অনুচ্ছেদ অবধি।
ফিচার লেখার মূল চাবিকাঠি হচ্ছে পাঠকের মন জয় করা। তিনি যেন লেখাটি পড়ে মনে করেন, ‘আমার সময় অপচয় হয়নি।’ সুমনা শারমীন আমাদের শেখালেন, কীভাবে পাঠকের মনোযোগ ধরে রাখতে হয়, কীভাবে বিষয় বাছাইয়ে মানবিক দিক আনতে হয়। তিনি বলেন, ফিচার লেখা হলো উল বোনার মতো। প্রতিটি শব্দ, বাক্য, অনুচ্ছেদ একে অপরের সঙ্গে গেঁথে থাকবে। যদি কোথাও ফাঁক থাকে, তাহলে পাঠকের মন সেখানেই ছিঁড়ে যাবে। সমানুপাতিকতা রক্ষা করতে হবে। কারও জীবনের গল্প বললে, তাঁকে পর্যাপ্ত গুরুত্ব দিতে হবে। লিখতে হবে যত্নে, সম্মান রেখে।
শেষে সুমনা শারমীন বললেন, অভিজ্ঞতার চেয়ে বড় শিক্ষক আর কিছু নেই।
এই কর্মশালা শিখিয়েছে, লেখা মানে মানুষ, অনুভব ও জীবনের প্রতিচ্ছবি। আমি যেন নিজেকেই একটু নতুন করে চিনলাম।