বন্ধুসভার নতুন জামা ও ঈদসামগ্রী পেয়ে খুশি শিশুরা

বন্ধুসভার নতুন জামা ও ঈদসামগ্রী পেয়ে খুশি শিশুরাছবি: বন্ধুসভা

ফেনীর সোনাগাজীতে ফেনী বন্ধুসভার পক্ষ থেকে অসচ্ছল ও দরিদ্র পরিবারের ৭০ শিশুকে নতুন জামা উপহার দেওয়া হয়। ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে দিতে বন্ধুসভার সদস্যরা নিজেদের টাকায় কেনা রঙিন জামা ঈদের আগেই উপহার হিসেবে শিশুদের হাতে তুলে দেন। পাশাপাশি ৩০টি পরিবারের হাতে ঈদ উপলক্ষে ঈদসামগ্রীও তুলে দেন।
ঈদের আগে রোববার সোনাগাজী উপজেলার চর দরবেশ ইউনিয়নের কাজীরহাট স্লুইজগেট এলাকায় ‘সহমর্মিতার ঈদ’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে নতুন জামা দেওয়া হয়। ফেনী শহরে পথশিশুদের মধ্যে নতুন জামা ও ঈদসামগ্রী বিতরণ করা হয়। ফেনী বন্ধুসভার সাধারণ সম্পাদক বিজয় নাথের সভাপতিত্বে নতুন জামা বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সোনাগাজী মডেল থানার পরিদর্শক মো. আবুল কাশেম। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলোর সোনাগাজী প্রতিনিধি মো. আমজাদ হোসাইন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মো. ইসমাইল হোসেন, উপজেলা পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের সভাপতি সমর দাস, সোনাগাজী বালিকা পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণ কুমার মজুমদার, সোনাগাজী মডেল থানার এএসআই আশিকুর রহমান, কাজীরহাট স্লুইজগেট ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মাঈন উদ্দিন লিটন, স্থানীয় সমাজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফজলুল হক, ফেনী বন্ধুসভার সাবেক সভাপতি শেখ আশিকুন্নবী সজীব, সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, প্রচার সম্পাদক মো. ইব্রাহীম, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম মোল্লা, দপ্তর সম্পাদক সুশান্ত দাসসহ বন্ধুসভার অন্য সদস্যরা।

বন্ধুসভার বন্ধুরা জানান, তাঁরা প্রতিবছর অসচ্ছল ও দরিদ্র পরিবারের শিশুদের ঈদের উপহার হিসেবে রঙিন জামা উপহার দেন। পাশাপাশি ঈদে খাওয়ার জন্য সেমাই, চিনি, সুজি, কিচমিচ, বাদাম ও দুধ বিতরণ করেন।
বন্ধুসভার পক্ষ থেকে নতুন জামা পেয়ে খুব আনন্দিত ছোট্ট শিশু মাহি আক্তার। মাহি জানায়, তারা উত্তর চর সাহাভিকারী এলাকায় আশ্রয়ণে বসবাস করে। সে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। তাদের পরিবারে পাঁচ-ছয়জন সদস্য। তার বাবা দিনমজুর। এবার ঈদে পরিবারের কারও জন্য এখনো নতুন জামা কেনা হয়নি। সে রঙিন জামা পেয়ে খুব খুশি হয়েছে। আস্তে করে মাহি বলে, ‘বাড়িতে আমার একটা ছোট ভাই আছে, তার জন্য একটা জামা দেবেন?’ পরে তার সে ছোট ভাইটির জন্যও একটি জামা দেওয়া হয়। নতুন জামা পাওয়া সবাই উত্তর চর সাহাভিকারী এলাকার আশ্রয়ণ প্রকল্প ১, ২ ও ৩–এর বাসিন্দা।
রহিমা আক্তার নামের এক নারী জানান, তাঁর স্বামী অসুস্থ হয়ে ঘরে পড়ে আছেন। ছেলেদের আয়রোজগার নেই। ঈদ চলে এলেও সেমাই, চিনি ও নতুন জামা কেনা হয়নি। বন্ধুসভার পক্ষ থেকে সেমাই, চিনি পেয়ে তিনি খুব খুশি।