ফলের রসের উৎসবে ভৈরব বন্ধুসভা
উৎসবের দেশ বাংলাদেশ। নানা রকম, নানা ঢঙের উৎসব রয়েছে এ দেশে। কালের প্রবাহে এগুলোতে এসেছে বৈচিত্র্য, আমাদের সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে জুড়ে রয়েছে। উৎসব মানেই আনন্দ। আর সেই আনন্দে ফল যুক্ত হয়ে উৎসবের মাত্রা যেন বাড়িয়ে দেয়।
১৭ জুন, শুক্রবার গ্রীষ্মকালীন ফল উৎসবের আয়োজন করে প্রথম আলো বন্ধুসভা, ভৈরব। হাজী আসমত আলীর বাসভবনসংলগ্ন খোলা মাঠে করার পরিকল্পনা থাকলেও দিনভর বৃষ্টিতে তা সম্ভব হয়নি। তবে বৈরী আবহাওয়া কি বন্ধুদের থামাতে পারে? একে একে হাজির হন ৪৫ জন বন্ধু। সবার কোলাহল আর বৃষ্টির রিমঝিম শব্দে জমে ওঠে উৎসব। বন্ধু মহিমা মেধা নিজ হাতে আর্ট করে নিয়ে আসেন ফল ব্যানার।
বারান্দার টেবিলে সাজানো আম, জাম, লিচু, কাঁঠাল, কলাসহ নানা রকমের ফল। সঙ্গে ছিল দই আর চিড়া। বন্ধুদের পাত্রে ফল বিতরণ করেন সহসভাপতি প্রিয়াংকা ও বন্ধু সানজিদা ভূঁইয়া। শুরু হয় ফল খাওয়া পর্ব। সবার চোখেমুখে ছিল তৃপ্তির ছোঁয়া, বাড়তি আনন্দ যোগ করে মজাদার দই মাখানো চিড়া। খাওয়ার পর আলোচনাপর্ব শুরু হয়। সঞ্চালনা করেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সানজিদা সিদ্দিকা।
ভৈরব বন্ধুসভার উপদেষ্টা ওয়াহিদা আমিন বলেন, সারা বছর ভৈরব বন্ধুসভা নিয়মিত বিভিন্ন রকমের আয়োজন করে থাকে। এবারই প্রথম ফল উৎসব করেছে। আশা করছি বছরব্যাপী কর্মপরিকল্পনায়ও এই উৎসবটি যুক্ত হয়ে যাবে।
উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক সুমন মোল্লা, ভৈরব বন্ধুসভার উপদেষ্টা আলাল উদ্দিন, রাকিব হোসাইন, সভাপতি সুমাইয়া হামিদ, সাধারণ সম্পাদক ছিদরাতুল রশিদ, নির্বাহী সদস্য ইকরাম বখশ, সহসভাপতি আল আমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক অর্ণব গণিসহ অনেকে। সবার একটাই চাওয়া উৎসবটি প্রতিবছর নিয়মিত হোক।
উৎসব সফলভাবে সম্পন্ন করতে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে ছিলেন আফিসা আলী, মানিক আহমেদ, সানজিদা ভূঁইয়া, রাব্বিল ও সাকিব। বৃষ্টিমুখর দিনে ফলের রসে মুখ রঙিন করে সন্ধ্যায় তৃপ্তির হাসি নিয়ে বাড়ি ফেরেন বন্ধুরা।
লেখা: নির্বাহী সদস্য, প্রথম আলো বন্ধুসভা, ভৈরব