‘বসন্ত আমাদের জীবনে নতুন আশা ও শক্তি নিয়ে আসে। এটি প্রকৃতির নবজীবনের প্রতীক। আজ আমরা একত্র হয়েছি আমাদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করার জন্য, যা আমাদের সবার হৃদয়ে স্নিগ্ধতা ও আনন্দ নিয়ে আসে। এই ঋতু আমাদের শিখিয়ে দেয় জীবন পরিবর্তনশীল, এবং প্রতিটি নতুন দিন আমাদের জন্য নতুন সুযোগ এনে দেয়।’
১২ ফেব্রুয়ারি ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি বন্ধুসভার উদ্যোগে ‘ফাগুনের রঙে ঋতুরাজের আগমন’ অনুষ্ঠানে এ কথাগুলো বলেন উপাচার্য শহীদ আকতার হোসেন। তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়–জীবনে বসন্তের এই উৎসব আমাদের একে অপরের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের একটি সুযোগ দেয়। আমরা শুধু বইয়ের জ্ঞানে নয়, বরং সাংস্কৃতিক ও মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকেও সমৃদ্ধ হচ্ছি। আজকের এই দিনটি বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার মনোভাব আরও শক্তিশালী করবে। আমরা একে অপরকে আরও ভালোভাবে বুঝতে পারব।’
ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার আবুল বাশার খান বলেন, ‘আজ আমাদের প্রাণের ক্যাম্পাসে ঋতুরাজ বসন্তকে বরণ করে নেওয়ার এই আয়োজন সত্যিই আনন্দের। বসন্ত হলো নবজাগরণের প্রতীক, সৌন্দর্যের প্রতিচ্ছবি এবং উৎসবের বার্তাবাহক। আশা করি, সবাই আজকের দিনটি প্রাণভরে উপভোগ করব এবং বসন্তের রং আমাদের জীবনে নতুন আশার বার্তা বয়ে আনবে।’
অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির ট্রেজারার মো. সামছুল হুদা, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, চেয়ারপারসন ও শিক্ষকেরা।
আলোচনা শেষে শুরু হয় সাংস্কৃতিক পর্ব। বন্ধুরা একে একে নাচ, একক গান, র্যাপ ও কবিতা আবৃত্তি পরিবেশন করেন। আরও ছিল র্যাম্প প্রদর্শনী ও রম্য বিতর্ক। শেষের দিকে জানুয়ারি মাসের সেরা তিন পাঠক বন্ধুকে পুরস্কৃত করা হয়। সার্বিক সহযোগিতায় ছিল ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির অফিস অব দ্য স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্স।
সভাপতি, ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি বন্ধুসভা