পলান সরকারের জন্মবার্ষিকীতে রাজশাহী সভার বই উৎসব
কারও কাছে তিনি বইপ্রেমী, কারও কাছে বইপাগল, আবার কারও কাছে বইদাদু হিসেবে পরিচিত। নিজের টাকা খরচ করে মানুষের বাড়ি বাড়ি বই পৌঁছে দেওয়াতেই আনন্দ খুঁজে পেতেন পলান সরকার। নিজে শিক্ষিত না হয়েও অন্যের মধ্যে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দেওয়ার স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১১ সালে তাঁকে একুশে পদকে ভূষিত করে সরকার।
আলোর ফেরিওয়ালা মানুষটির ১০১তম জন্মদিন উপলক্ষে ১ আগস্ট সোমবার প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত রাজশাহী আলোর পাঠশালায় ‘বই উৎসব’ করেছে রাজশাহী বন্ধুসভা। রাজশাহী নগরের তালাইমারী শহিদ মিনার এলাকায় অনুষ্ঠিত এ উৎসবের উদ্বোধন করেন প্রথম আলোর ডিজিটাল রূপান্তর ও যুব কার্যক্রমের প্রধান সমন্বয়কারী মুনির হাসান।
তিনি বলেন, মানুষ ও প্রাণীর মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে, মানুষ তাদের অভিজ্ঞতা লিখে যেতে পারে। পলান সরকার নিজের জায়গা থেকে চেয়েছিলেন বই পড়াতে। পলান সরকার তাঁর বই পড়া আন্দোলনের মাধ্যমে তা বোঝাতে চেয়েছেন। তাঁর উদ্যোগ বিশ্বব্যাপী সমাদৃত হয়েছে। সবার তাঁর আদর্শে অনুপ্রাণিত হওয়া দরকার।
পলান সরকারের আসল নাম হারেজ উদ্দিন। ১৯২১ সালের ১ আগস্ট নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার নূরপুর মালঞ্চি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ২০১৯ সালের ১ মার্চ মারা যান।
উৎসবের শুরুতে পলান সরকারের মানুষের মধ্যে আলো ছড়িয়ে দেওয়ার অবদান সম্পর্কে আলোচনা করেন প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক আবুল কালাম মুহম্মাদ আজাদ। তিনি শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন বই পড়ার উপদেশ দেন। এ ছাড়া বই পড়ার উপকারিতা নিয়ে কথা বলেন প্রথম আলোর প্রতিনিধি শফিকুল ইসলাম, রাজশাহী বন্ধুসভার উপদেষ্টা ফারুক হোসেন, সাবেক সভাপতি বেলাল হোসেনসহ প্রমুখ।
পরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে চিত্রাঙ্কন ও কুইজ প্রতিযোগিতা হয়। বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা। আরও উপস্থিত ছিলেন আলোর পাঠশালার প্রধান শিক্ষক রেজিনা খাতুনসহ শিক্ষক ও বন্ধুসভার বন্ধুরা।
সভাপতি, রাজশাহী বন্ধুসভা