বজ্রকণ্ঠে মুক্তি মেলে

জাতীয় সংগীত পরিবেশনা
ছবি: বন্ধুসভা

কারও কাছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একজন মানবিক দেশপ্রেমিক, কারও কাছে অবিসংবাদিত নেতা। কেউ কেউ বঙ্গবন্ধুর দর্শন নিয়ে জানতে চান, কেউবা তাঁর লেখক সত্তায় মুগ্ধ। বঙ্গবন্ধুর বৈচিত্র্যময় জীবনের নানা বাঁকে আমরা তাঁকে দেখতে পাই নানা রূপে।

কণ্ঠে যাঁদের বিশ্বজয়ের জোর, সেসব বজ্রকণ্ঠীদের হাত ধরেই পৃথিবীতে নেমে আসে মুক্তি। তাই তো বজ্রকণ্ঠীদের দৃষ্টিতে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে জানতে ‘বজ্রকণ্ঠে মুক্তি মেলে’ স্লোগানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভা আয়োজন করে আন্তহল বক্তৃতা প্রতিযোগিতা ‘আমার চোখে বঙ্গবন্ধু’।

গত ২৮ আগস্ট বিকেল চারটায় জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনের সেমিনার কক্ষে প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বের পর্দা উন্মোচিত হয়।

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭টি আবাসিক হলে মাসব্যাপী আলাদা আলাদা বক্তৃতা প্রতিযোগিতার মাধ্যমে নির্বাচন করা হয় হলভিত্তিক বিজয়ীদের। হলভিত্তিক প্রতিযোগিতায় উপস্থিত ছিলেন নিজ নিজ হলের প্রাধ্যক্ষ ও আবাসিক শিক্ষকগণ। বিজয়ীদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন এবং রানারআপদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় চূড়ান্ত পর্ব। তারও আগে প্রতিযোগীদের প্রস্তুতি ঝালাই করে নিতে আয়োজন করা হয় বক্তৃতা কর্মশালার। যেখানে বক্তৃতার খুঁটিনাটি বিষয়ে আলোচনা করেন জাবি বন্ধুসভার সাবেক সভাপতি হাসান মাহমুদ সম্রাট এবং বঙ্গবন্ধু ও তাঁর দর্শন নিয়ে আলোচনা করেন সাবেক সহসভাপতি মেহেনাজ বিনতে আমিন।

চূড়ান্ত পর্বে নিজেদের চোখে বঙ্গবন্ধুকে তুলে ধরেন হল পর্বের বিজয়ী প্রতিযোগীরা। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেন শেখ হাসিনা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সংগীতা পাল, রানারআপ হয়েছেন আল বেরুনি হলের তৌহিদ সিয়াম এবং দ্বিতীয় রানারআপ মীর মশাররফ হোসেন হলের নাজিম হোসেন।

সম্মাননা গ্রহণ করছেন চূড়ান্ত পর্বে চ্যাম্পিয়ন সংগীতা পাল
ছবি: বন্ধুসভা

চূড়ান্ত পর্বে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পদার্থবিজ্ঞানী অধ্যাপক এ এ মামুন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির পরিচালক অধ্যাপক আহমেদ রেজা, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক বশির আহমেদ, পরিসংখ্যান বিভাগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলমগীর কবির, লোকপ্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মুনির শিকদার, বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ, বন্ধুসভা জাতীয় পরিচালনা পর্ষদের অর্থ সম্পাদক রুবাইয়াত সাইমুম চৌধুরী, ঢাকা মহানগর বন্ধুসভার সভাপতি হাসিনা মুস্তাফিজ এবং প্রথম আলোর ক্যাম্পাস প্রতিনিধি আবদুল্লাহ আল মামুন। গিয়াস উদ্দিন মুন্না ও তাবাসসুম রিচিকার সঞ্চালনায় আয়োজনজুড়ে উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভার বন্ধুরা।

সভাপতি হামিদা জান্নাত মনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর মতো সব্যসাচী একজন মহান নেতার জীবনের নানা অজানা দিক উঠে এসেছে প্রতিযোগীদের কাছ থেকে। প্রত্যেকের আলাদা আলাদা দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের আয়োজনে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। পুরো আয়োজনে নানাভাবে যাঁরা সহযোগিতা করেছেন, তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।’

বন্ধু, জাবি বন্ধুসভা