তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক কর্মশালা

খুলনা বন্ধুসভার আয়োজনে তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীছবি: বন্ধুসভা

‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের ক্ষেত্রে স্মার্ট নাগরিক দরকার। যে নাগরিক হবে তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ, যারা অল্প সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবে, তাদের কাজ হবে স্মার্ট। যার কাছে যত বেশি তথ্য আছে, সে তত বেশি স্মার্ট। তোমরাই হবে আগামীর স্মার্ট নাগরিক,’ বলছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের প্রধান অধ্যাপক আবু শামীম মোহাম্মদ আরিফ।

১৯ অক্টোবর খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের গ্যালারিতে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করে খুলনা বন্ধুসভা। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাব ফর আপডেটেড সার্চ অন কম্পিউটারের সভাপতি শাহরিয়ার কবির। ক্লাবটি সার্বিক সহযোগিতা করে।

প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক কাজী মাসুদুল আলম। তিনি প্রজেক্টরের মাধ্যমে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে তথ্যপ্রযুক্তি, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে আগামীর বাংলাদেশ, সাইবার নিরাপত্তা, প্রযুক্তির উৎকর্ষসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশে মাসুদুর রহমান বলেন, ‘তোমরা তরুণেরাই তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ হয়ে আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করবে। তোমাদের হাত ধরে আগামীর বাংলাদেশের নতুন সূর্যের উদয় হবে। তাই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ হতে হবে।’

খুলনা বন্ধুসভার সভাপতি অধ্যাপক তুহিন রায় বলেন, ‘স্মার্ট মানুষ গড়ার কারখানা বন্ধুসভা। বন্ধুদের ভবিষ্যতে এ জাতিকে নেতৃত্ব দিতে হবে। এ জন্য তাদের যোগ্য ও দক্ষ হয়ে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে। সেই লক্ষ্যেই আজকের এই আয়োজন। এখান থেকে প্রাপ্ত জ্ঞান তরুণ বন্ধুরা তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কাজে লাগাবে বলে বিশ্বাস করি।’

অনুভূতি জানিয়ে কর্মশালায় অংশ নেওয়া আলফি শাহরিন বলেন, ‘বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে নানা ধরনের সংকটে পড়তে হয়। মেয়েদের সাইবার বুলিংয়ের শিকার হতে হয়। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের আইডি হ্যাকড হয়। ব্যক্তিগত তথ্য চুরি হয়ে যায়। এ কারণে সবাইকে আতঙ্কের মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে হয়। আজকের এই কর্মশালা থেকে অনেক নতুন তথ্য জানতে পেরেছি, যা আমাদের ভবিষ্যৎ জীবনের সাইবার নিরাপত্তায় কাজে লাগবে।’

আরেক প্রশিক্ষণার্থী মো. রহমাতুল্লাহ বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে বিশ্বের কোথায় কী ঘটছে, তা মুহূর্তেই জানতে পারছি। ইন্টারনেট ব্যবহার করে জীবনকে সহজভাবে চালানোর বেশ কিছু কৌশল আজ শিখেছি। ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করে, এমন কিছু অনিরাপদ অ্যাপ সম্পর্কেও জানার সুযোগ হলো।’

কর্মশালায় বন্ধুসভার বন্ধুরাসহ ৭৫ শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। পরে সবাইকে সনদ দেওয়া হয়। সঞ্চালনা করেন খুলনা বন্ধুসভার সাধারণ সম্পাদক এম এম মাসুম বিল্যাহ।

সাধারণ সম্পাদক, খুলনা বন্ধুসভা