মাঘ মাসের মাঝামাঝিতেও যেন উত্তরবঙ্গের শীত আঁকড়ে ধরেছে সবাইকে। সকাল থেকে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে বগুড়াসহ এর আশপাশের অঞ্চল। এমন আবহাওয়ায় বাঙালিরা পিঠাপুলি নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। শীতের পিঠা বাঙালি সংস্কৃতির অন্যতম একটি অংশ। যদিও সময়ের সঙ্গে তা পরিবর্তন হচ্ছে।
বাঙালি ঐতিহ্য ধরে রাখতে পুণ্ড্র ইউনিভার্সিটি বন্ধুসভা আয়োজন করেছে পিঠা উৎসব। আগের রাতে বন্ধুরা স্বাস্থ্যকর উপায়ে নিজ হাতে দুধ চিতই, পাটিসাপটা, জামাই পিঠা, কুশলী পিঠা, নারকেলের নাড়ু, পাস্তার পায়েস, তেল পিঠাসহ হরেক রকমের পিঠা বানান।
একদিকে কিছু বন্ধু যেমন পিঠা তৈরিতে ব্যস্ত, অন্যদিকে আরেক দল তখন অনুষ্ঠানের স্টলের সাজসজ্জা নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। ২৮ জানুয়ারি বন্ধুরা শীত উপেক্ষা করে সকাল আটটার মধ্যে ক্যাম্পাসে হাজির হন। বেলা যত বেড়ে যায়, ততই শিক্ষার্থীদের পদচারণে মুখর হয়ে ওঠে উৎসব। সকাল থেকে তাঁরা স্টলে ভিড় করেন।
উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিওটি সদস্য প্রফেসর হাছনাত আলী, উপাচার্য মো. মোজাফফর হোসেন, বন্ধুসভার উপদেষ্টা মো. আলাউদ্দিন, সাইদুর রহমান, হাবীব এহসানুল হক, শাকিল হোসেন, আতাউর রহমান, সাব্বির রহমান, নুসরাত জাহান, সুজানা রহমান, মানতাসা হাসান ও সজীব হাসান।
উপাচার্য মোজাফফর হোসেন বন্ধুদের উদ্দেশে বলেন, ‘তোমরা এসব কার্যক্রম করো বলেই আমরা প্রাণ ফিরে পাই, আমরা উজ্জীবিত হই।’ আরও উপস্থিত ছিলেন বগুড়া বন্ধুসভার সভাপতি সামির মিশুসহ অন্য বন্ধুরা। তাঁরা উৎসবে এসে পিঠা খাওয়ার পাশাপাশি বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় মেতে ওঠেন।
সাধারণ সম্পাদক, পুণ্ড্র ইউনিভার্সিটি বন্ধুসভা