নবগঙ্গা নদীতে মাগুরাসভার নৌকাভ্রমণ

নবগঙ্গা নদীর তীর ঘেঁষে গড়ে ওঠা পারনান্দুয়ালী হাউজিং প্রজেক্টে ফ্রেমে বন্দী বন্ধুরা
ছবি: বন্ধুসভা

যান্ত্রিক শহরের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে নবগঙ্গা নদী। সকাল থেকেই বন্ধুদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা, কখন নৌকাভ্রমণ শুরু হবে। নির্ধারিত সময় থেকে কিছুটা দেরিতে মাঝি তাঁর নৌকা নিয়ে উপস্থিত হন। বন্ধুরা কেউ রিকশাযোগে, কেউ মোটরসাইকেলে খেয়াঘাটে আসতে শুরু করেন। সবার চোখে মুখে উচ্ছ্বাস, অনেক দিন পর সব বন্ধু একত্রিত হচ্ছে।

আগে থেকেই দুটি নৌকা ভাড়া করা ছিল। ১৬ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকেল চারটায় মাগুরা শহরের পারনান্দুয়ালী ব্রিজের নিচের খেয়াঘাট থেকে শুরু হয় মাগুরা বন্ধুসভার নৌকাভ্রমণ। প্রতীক্ষা শেষে নির্ধারিত নৌকায় উঠে পড়েন বন্ধুরা। মাঝি নৌকা মাঝনদীতে নিতে না নিতেই সবার মধ্যে উদ্দীপনা কয়েক গুণ বেড়ে যায়।

বন্ধুদের সঙ্গে গানের সুর তোলেন নৌকার মাঝিও
ছবি: বন্ধুসভা

বিকেলের শান্ত পরিবেশ, নদীর শীতল হাওয়া, সঙ্গে বন্ধুদের গল্প, আড্ডা ও গানে ভ্রমণ আরও উপভোগ্য হয়ে ওঠে। কেউ আবার ছবি তোলায় ব্যস্ত, কেউবা মুঠোফোন দিয়ে নদীপারের চিত্র ধারণ করছেন। মাঝিও যেন বন্ধুদের একজন হয়ে উঠেন। তিনি গানের সুর তোলেন, সেই সুরে সুর মিলিয়েছেন বন্ধুরা।

প্রায় ঘণ্টাখানেক নৌকাভ্রমণ উপভোগ করার পর আমাদের পরবর্তী গন্তব্য ঠিক হয় নবগঙ্গা নদীর তীর ঘেঁষে গড়ে ওঠা পারনান্দুয়ালী হাউজিং প্রজেক্ট। সেখানে শরতের কাশফুল মাখা মেঠোপথ ধরে হাঁটা, কেউ আবার কাশফুল দিয়ে প্রকৃতিকে আলিঙ্গন করে ছবি তুলছেন। ঘোরাঘুরি শেষে সন্ধ্যা নেমে এলে সবাই আবার নৌকায় ফিরে আসেন। নৌকাতেই হালকা নাশতার আয়োজন করা হয়। পরে বন্ধুরা নবগঙ্গা পার্কে সাংগঠনিক বৈঠক করেন।

ঝিনাইদহ বন্ধুসভার সাধারণ সম্পাদক অতনু বিশ্বাসকে বরণ
ছবি: বন্ধুসভা

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ বন্ধুসভার সাধারণ সম্পাদক অতনু বিশ্বাস। তাঁকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। পরে মাগুরা বন্ধুসভার পক্ষ থকে সাংগঠনিক সম্পাদক সাবিহা মাহবুব একটি বই উপহার দেন। আরও উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলোর মাগুরা প্রতিনিধি কাজী আশিক, মাগুরা বন্ধুসভার উপদেষ্টা সাবিনা খতুন, সভাপতি শাহরিয়ার শুভ্র, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জুয়েলসহ অন্য বন্ধুরা।

সহসভাপতি, মাগুরা বন্ধুসভা