পাবনায় বন্ধুসভার আয়োজনে শিক্ষক সম্মাননা

শিক্ষকদের হাতে ফুল ও সম্মাননা স্মারক হিসেবে ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়ছবি: বন্ধুসভা

আমাদের জীবন গড়ার পথে মা–বাবার পর সবচেয়ে বেশি অবদান শিক্ষকদের। তাঁদের সংস্পর্শ ও সঠিক দিকনির্দেশনায় আমরা সাফল্যের উচ্চ শিখরে আরোহণ করি। কেউ আবার হয়ে ওঠেন প্রিয় শিক্ষক। সাফল্যের গল্প বলতে গেলে সবার আগে ওই শিক্ষকের নাম স্মরণ করতে হয়। শিক্ষক দিবসে প্রিয় শিক্ষকদের অবদান স্মরণ করতে ৫ অক্টোবর তিন গুণী শিক্ষককে সম্মাননা জানিয়েছে পাবনা বন্ধুসভা।

সম্মাননা পাওয়া পাবনা বন্ধুসভার উপদেষ্টা ও পাবনা সিটি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক শামসুন্নাহার বর্ণা নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, ‘শিক্ষক হিসেবে কাজ করাটা সম্মানের। আর বিশেষভাবে যখন এ ধরনের সম্মাননা পাই, তখন এই পেশায় কাজের আনন্দটা দ্বিগুণ বেড়ে যায়। আশা করব, শিক্ষক সম্মাননা ভবিষ্যতে যেন আরও বড় পরিসরে আয়োজন করা হয়।’ সম্মাননা পেয়েছেন পাবনা সরকারি মহিলা কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবদুল খালেক এবং ইসলামিয়া কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান গোলাম হাসনায়েনও।

প্রথম আলোর পাবনা অফিসে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে তাঁদের হাতে ফুল ও সম্মাননা স্মারক হিসেবে ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়। আলোচনা পর্বে বক্তারা বলেন, প্রযুক্তির কারণে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সম্পর্কে দূরত্ব তৈরি হচ্ছে। এই দূরত্ব ঘুচিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বন্ধুত্ব সৃষ্টি করতে হবে। তবেই শিক্ষার মান আরও উন্নত হবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্কিটেকচার বিভাগের প্রভাষক লায়লা আঞ্জমান্দ বানু, পাবনা বন্ধুসভার উপদেষ্টা মেহেদী হাসান, সহসাংগঠনিক সম্পাদক স্মরণী আক্তার, সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনর রশিদ, বন্ধু হামজা, তাজিন, সোলাইমান, নিতুল, বৃষ্টি, চৈতী, জিনিয়া, রাফিউল, রিমা, অয়ন, ইমু, মনা, সোহানুর ও মেঘ।

সাধারণ সম্পাদক, পাবনা বন্ধুসভা