বাঙালির ঐতিহ্যবাহী প্রাণের উৎসব পয়লা বৈশাখ, অর্থাৎ বাংলা নববর্ষ। বাংলা নববর্ষ বাঙালির অসাম্প্রদায়িক ও সর্বজনীন একটি উৎসব। ২৩ এপ্রিল নববর্ষ উপলক্ষে এক বিশেষ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করেছে দিনাজপুর বন্ধুসভা। প্রথম আলো দিনাজপুর অফিসে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানের সূচনায় অতিথিদের নববর্ষের ব্যাজ পরিয়ে বরণ করে নেন সভাপতি শবনম মুস্তারিন ও সাধারণ সম্পাদক সুদর্শন চন্দ্র অধিকারী। উপদেষ্টা মিজানুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, ‘আজকের এই আয়োজনের জন্য খুবই আনন্দিত। দিনাজপুর বন্ধুসভার সঙ্গে আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকব।’
উপদেষ্টা ড. ডি সি রায় বলেন, ‘এই উৎসব আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতীক। আমি অত্যন্ত আনন্দিত এই অনুষ্ঠানে থাকতে পেরে।’
উপদেষ্টা জলিল আহমেদ বলেন, বাংলা নববর্ষ বাঙালি জীবনের প্রেরণার এক প্রাণবন্ত প্রকাশ। এ সময় নিজের লেখা একটি কবিতা আবৃত্তি করেন তিনি—
‘এসো নতুন সঙ্গরে,
বিশ্বজুড়ে বাংলা পায় বর্ষ শুরুর এই দিনে
উৎসাহে আর উদ্দীপনায় দিনটিকে যে নেই চিনে...।’
প্রথম আলোর দিনাজপুর প্রতিনিধি রাজিউল ইসলাম বলেন, ‘ঐতিহ্যই আধুনিকতা। বাঙালির ঐতিহ্যকে নতুন রূপে নতুন করে প্রাণবন্ত করে তোলাই আধুনিকতা।’
কবিতা আবৃত্তি, গান-নাচ পরিবেশনা ও আড্ডায় পূর্ণতা পায় সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার উৎসবমুখরতা। কবিতা আবৃত্তি করেন রক্তকরবীর সভাপতি গুণী আবৃত্তিশিল্পী সুবর্ণা মুখার্জী। দিনাজপুর বন্ধুসভার সাংস্কৃতিক সম্পাদক জুঁই আফরোজের সঞ্চালনায় সম্পন্ন হয় সাংস্কৃতিক পর্ব।
এরপরই শুরু হয় ভোজন পর্ব। এ পর্বে ছিল বাঙালির ঐতিহ্যবাহী খাবার দই-চিড়া। সহসভাপতি দীপু রায় ও আরিয়ানা চৌধুরী সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
নববর্ষের সাংস্কৃতিক সন্ধ্যাকে সাফল্যমণ্ডিত করতে আরও উপস্থিত ছিলেন পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক মুনিরা শাহনাজ চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনোরঞ্জন সিংহ, শুভজিৎ রায়, স্বাস্থ্য ও ক্রীড়া সম্পাদক বিথী রায়, বন্ধু শুভ রায়, সুব্রত সরকার, দয়াল বর্মণ, বেলালুর রহমান, উৎস রায়, রাকিব সরকারসহ আরও অনেকে।
ম্যাগাজিন সম্পাদক, দিনাজপুর বন্ধুসভা