বাসনার রঙে মিশে, চলো মাতি বসন্তে

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভার বসন্ত উৎসবে সাংস্কৃতিক পরিবেশনাছবি: বন্ধুসভা

‘আহা, আজি এ বসন্তে এত ফুল ফুটে,
এত বাঁশি বাজে, এত পাখি গায়’

রিক্ত শীতের পরে আগমন ঘটেছে বর্ণিল ঋতু বসন্তের। ফাল্গুনের মিষ্টি কুয়াশাঘেরা সকালের হাত ধরেই আগমন এই ঋতুর। তাই ‘বাসনার রঙে মিশে, চলো মাতি বসন্তে’ স্লোগানে ১৪ ফেব্রুয়ারি বসন্তকে বরণ করে নিল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভা। এদিন বন্ধুরা পয়লা ফাল্গুনে বাঙালি পোশাক শাড়ি, পাঞ্জাবি ও লুঙ্গি পরিধান করে ‘বসন্ত উৎসবে’ মেতেছিলেন।

উৎসবের বিশেষ আকর্ষণ ছিল কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাওয়া বাঙালি খাবার মোয়া, খই, কদমা, কটকটি, মুড়ি, নিমকি ইত্যাদি। এসব খাবার মাটির হাঁড়িতে পরিবেশন করা হয়। এ ছাড়া ছিল বাঙালি সাজসজ্জায় বন্ধুদের নৃত্য, গান ও কবিতা আবৃত্তি।

উৎসবের বিশেষ আকর্ষণ ছিল কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাওয়া বাঙালি খাবার মোয়া, খই, কদমা, কটকটি, মুড়ি, নিমকি ইত্যাদি
ছবি: বন্ধুসভা

বসন্তকে বলা হয় রঙের ঋতু। এ জন্য আয়োজন করা হয় রং খেলার। বন্ধুরা একে অপরকে রং লাগিয়ে নতুন বন্ধনের সূচনা করেন এবং পুরোনো বন্ধন দৃঢ় করার অঙ্গীকার নেন।

উৎসবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন ব্যাচ ৫২তম আবর্তনের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন করেছিলেন। দর্শক সারিতে বসা নবীন বন্ধুদের অনেকেই মঞ্চে এসে গান, নাচ ও কবিতা আবৃত্তি করেন।

বাঙালি সাজসজ্জায় বন্ধুদের নৃত্য পরিবেশনা
ছবি: বন্ধুসভা

উপস্থিত ছিলেন বন্ধুসভা জাতীয় পরিচালনা পর্ষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেদোয়ান মাহমুদ রেজা। তিনি আয়োজনের প্রশংসা করে বলেন, কালের বিবর্তনে বাঙালি সংস্কৃতিকে যুব সমাজ প্রায় ভুলে যেতে বসেছে। কিন্তু বন্ধুসভার বন্ধুরা আলাদা। তাঁরা সব সময় দেশ ও সংস্কৃতিকে ধারণ করেন। আজকে এই বাঙালি ধাঁচে আয়োজিত ঘরোয়া উৎসবই তা প্রমাণ করে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জাবি বন্ধুসভার আগের কমিটির সভাপতি হামিদা জান্নাত, সাধারণ সম্পাদক গিয়াসউদ্দিন মুন্না। তাঁরাও নিজেদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন। সাংস্কৃতিক আয়োজনের পাশাপাশি ছিল বন্ধু–আড্ডা। যেখানে বন্ধুরা বন্ধুসভা নিয়ে নিজেদের মনোভাব প্রকাশ করেন। দর্শক সারির এক নবীন বন্ধু দাঁড়িয়ে বলেন, ‘নবীন ব্যাচ হিসেবে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়া সময়সাপেক্ষ ব্যাপার হলেও বন্ধুসভার বন্ধু হওয়া ছিল সবচেয়ে সহজ। বসন্ত উৎসবের মাধ্যমে যেন এক নতুন পরিবারকে পেয়ে গেলাম।’

আয়োজন চলে প্রায় রাত আটটা পর্যন্ত। শেষে বন্ধুরা একসঙ্গে ছবি তুলেন এবং ক্যাম্পাসে আয়োজিত কনসার্ট দেখতে যান।

পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক, জাবি বন্ধুসভা