টেবিলের ওপর থরে থরে সাজানো বিবিখানা, দুধপুলি, গুড়গুড়িয়া, ভাপা, চিতই, মাংস, নকশি, রাজবংশী, নারকেল, নুনাস, তেলপিঠাসহ হরেক রকম পিঠা। শিশুরা আসছে, নিজ হাতে পিঠা তুলে নিচ্ছে, খাচ্ছে। তাদের কাছে যেন এক স্বপ্নের জগৎ। তাদের অধিকাংশই যে এর আগে কোনো দিন এত পিঠা একসঙ্গে দেখেনি!
ঠাকুরগাঁও বন্ধুসভা ঠিক এরকম একটা ব্যতিক্রমী পিঠা উৎসবের আয়োজন করেছে। গতকাল সোমবার বেলা তিনটায় ঠাকুরগাঁও জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এই উৎসব শুরু হয়। স্থানীয় আদিবাসী সাঁওতাল, ওঁরাও, বেদে জনগোষ্ঠী এবং মাদ্রাসাপড়ুয়া সুবিধাবঞ্চিত অর্ধশতাধিক শিশু এতে অংশ নেয়। সবার উপস্থিতিতে মুখর হয়ে ওঠে আয়োজন।
বন্ধুসভার বন্ধুরা নিজেদের বাসা থেকে এসব পিঠা তৈরি করে আনেন। আর সেই পিঠার পুরোটাই ভাগ করে দেওয়া হয় আমন্ত্রিত শিশুদের মধ্যে।
উৎসবে উপস্থিত ছিলেন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের, ঠাকুরগাঁও বন্ধুসভার উপদেষ্টা নাসরিন জাহান, সালেহা খাতুন, ফেরদৌস আরা, আলমগীর ইসলাম, মজিবর রহমান, সভাপতি আনিছুর রহমান, সহসভাপতি ফরহাদুল ইসলাম, লায়লা ফেরদৌস, সাংগঠনিক সম্পাদক পিয়াল হাসানসহ অন্য বন্ধু এবং ঠাকুরগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও বালক উচ্চবিদ্যালয়ের কিশোর আলো ক্লাবের সদস্যরা।
সাধারণ সম্পাদক, ঠাকুরগাঁও বন্ধুসভা