‘চড়ুইভাতি’ শব্দটি শুনলেই চনমনে ছেলেবেলার কথা মনে পড়ে। সময়ের স্রোতে স্মৃতিতে ধুলা জমলেও শব্দের চিত্রকল্পে ধুলা জমে না। পৌষ-মাঘের শীত আর বাড়ন্ত শীতের সবজি চুরি করে সাধের চড়ুইভাতির স্মৃতি কুয়াশাঘেরা জীবনে যেন আগুনের উষ্ণতা।
শৈশব-কৈশোরের ফেলে আসা হাজারো মধুর স্মৃতির মধ্যে একটা অংশজুড়ে আছে পাড়ার বন্ধুদের নিয়ে ‘চড়ুইভাতি’ খেলা। পুরোনো স্মৃতি রোমন্থন করতে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি বন্ধুসভার একদল শিক্ষার্থী মিলে ২৭ জানুয়ারি ইউনিভার্সিটি লেক পাড়ে আয়োজন করেছেন আবেগ মাখানো এই উৎসব।
একটি দিনের জন্য শৈশবে ফিরে যাওয়ার সুযোগটি হাতছাড়া করতে চাননি কেউই। আয়োজন উপলক্ষে আগের দিনই প্রয়োজনীয় সব সামগ্রী কিনে রাখা হয়। অপেক্ষা কেবল রাত পোহানোর। কারোরই যেন তর সইছিল না।
পরদিন বাজার নিয়ে যথাসময়ে হাজির হওয়ার পরই শুরু হয় উৎসবের ধুম। দায়িত্ব অনুযায়ী সবাই যে যাঁর মতো কাজ শুরু করেন। কেউ পানি আনা, কেউ কাটাকাটি, কেউবা চুলা জ্বালানো, কেউ আবার হাঁড়ি-পাতিল পরিষ্কারের কাজে লেগে যান। চুলা বানানো, চাল ধোয়া, মাংস কাটাসহ সব কাজেই সবাই অংশ নেন। এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেল রান্নার তোড়জোড়।
একদিকে রান্নার কাজ চলতে থাকে, অন্যদিকে অন্য বন্ধুরা আড্ডা, গান, কবিতা, গল্পে মুখর করে রাখেন চারপাশ। দুপুরের খাবারের পর শুরু হয় শৈশবের স্মৃতি মোড়ানো হরেকরকম খেলা। সবাই যেন কিছু সময়ের জন্য হারিয়ে যান বাল্যকালে। এভাবেই একটা সময় দুপুর গড়িয়ে বিকেল নেমে আসে। আমাদের চড়ুইভাতি অনুষ্ঠানেরও সমাপ্তি ঘটে।
প্রচার সম্পাদক, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি বন্ধুসভা