অনুষ্ঠান শেষে ঢাবি বন্ধুসভার বন্ধুরা
ছবি: বন্ধুসভা

আষাঢ়ের টালমাটাল মাসটির পর শ্রাবণ সবার কাছেই সমাদরের। ৩ আগস্ট বুধবার ছিল শ্রাবণের ১৯তম দিন। শহর কিংবা গ্রামে, বনাঞ্চল বা নদীর পাড়ে বর্ষার চোখজুড়ানো রূপ মুগ্ধ করে। ভালো লাগে বর্ষার সদ্যঃস্নাত স্নিগ্ধ প্রকৃতি। ভালো লাগে আকাশ, অবারিত মাঠ, টলমলে জলের পুকুর, ভেজা সবুজ পাতা ও ঘাস।

বাঙালির কাছে সময়টা খুব প্রিয়। ঝরঝর বৃষ্টি পড়া দেখতে দেখতে মনে পড়ে কত গান। বর্ষার গানগুলো মনে গুনগুন করতে থাকে। আসলেই, টাপুরটুপুর বর্ষার দিনে বর্ষার গান শোনার অন্য রকম মোহ মায়া আছে। বর্ষার সঙ্গে বাঙালির অন্যতম যোগসূত্র রবীন্দ্রনাথ। সেই যোগসূত্রটা বুধবার বেশ জমিয়ে হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুনির চৌধুরী মিলনায়তনে। আয়োজন করা হয় ‘শ্রাবণ ধারায়’ শিরোনামে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। রবীন্দ্রসংগীত, বর্ষার গান-কবিতাসহ বিভিন্ন পরিবেশনার পসরা মেলে ধরেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভার বন্ধুরা।

জান্নাতুল ফেরদৌস ও কারিমা কবিরের দ্বৈত নৃত্য
ছবি: বন্ধুসভা

ঢাবি বন্ধুসভার সহসভাপতি তামান্না আক্তারের উপস্থাপনায় শুরুতেই স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন বন্ধু সালমান ফারসি। এরপর একে একে তৌহিদা স্বাধীনের গান, রিফাত রুচির আবৃত্তি, অর্পিতা রায়ের গান, জান্নাতুল ফেরদৌস ও কারিমা কবিরের দ্বৈত নৃত্য, আইনান মাহবুবের গান, মামুন খানের গান, তানিয়া আক্তারের গল্পপাঠ, কারিমা কবিরের একক নৃত্য, ইয়াসির আরাফাতের আবৃত্তি, নাবিল হাসানের গান এবং সবশেষে নাবিল হাসান ও তৌহিদা স্বাধীন দ্বৈত গান পরিবেশন করেন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বন্ধুসভা জাতীয় পরিচালনা পর্ষদের প্রশিক্ষণ সম্পাদক সাইফুল্লাহ সাদেক, ঢাকা মহানগর বন্ধুসভার সভাপতি সোলায়মান কবির, সাধারণ সম্পাদক রেদোয়ান মাহমুদ এবং রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান। হঠাৎ উপস্থিত হয়ে সবাইকে চমকে দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভার সাবেক সভাপতি ও জনপ্রিয় অভিনেতা খায়রুল বাশার। এ সময় বন্ধুদের অনুরোধে লোকসংগীতের কিছু অংশ গেয়ে শোনান তিনি।

অনুষ্ঠান ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিলেন ঢাবি বন্ধুসভার সাধারণ সম্পাদক গাজী ইমরান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক অর্পিতা রায়।

সভাপতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভা