২২শে শ্রাবণ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৮২তম প্রয়াণবার্ষিকীতে সাতক্ষীরা বন্ধুসভা আয়োজন করে ‘কথা ও কবিতায় বাইশে শ্রাবণ’। এ উপলক্ষে ৬ আগস্ট বিকেলে জেলা শহরের ম্যানগ্রোভ সভাকক্ষে কবি ও সাহিত্যিকদের নিয়ে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রকৃতির সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের ছিল গভীর সখ্য। সেটি প্রকাশ পায় তাঁর গান ও কবিতায়, বলছিলেন কবি শিরিন সিদ্দিকী। তিনি গেয়ে শোনান ‘সুখে আমায় রাখবে কেন’ গানটি। বর্তমান প্রজন্মের তরুণদের কাছেও রবীন্দ্রসংগীত এখনো বেশ জনপ্রিয়। তাঁর প্রতিটি গান যেন জীবনের সঙ্গে মিলে যায়।
রবীন্দ্রনাথের কবিতাগুলো সাহিত্যপ্রেমীদের হৃদয়ে আলাদা জায়গা করে নিয়েছে। আবৃত্তিশিল্পী মনিরুজ্জামান ছট্টুর কণ্ঠে ‘কৃষ্ণকলি আমি তারে বলি’, সীমা মণ্ডলের কণ্ঠে ‘প্রশ্ন’ ও সুস্মিতা রায় তন্নি আবৃত্তি করেন ‘হঠাৎ দেখা’ কবিতাটি।
গান ও কবিতার ফাঁকে ফাঁকে চলে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিয়ে আলোচনা। প্রাবন্ধিক ও কবি শুভ্র আহমেদ বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথের সাহিত্যগুলো বাংলা সাহিত্যকে বিশ্বব্যাপী পরিচয় করিয়ে দিয়েছে। আমাদের নিত্যদিনের জীবনযাপনে, চিন্তা ও কর্মে, আনন্দ-বেদনায়, প্রেম-বিরহের প্রতিটি অনুভবে মিলেমিশে একাকার হয়ে আছে একটি নাম, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি মিশে আছেন বাঙালির শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতির প্রতিটি পর্বের সঙ্গে। তাঁর সামগ্রিক সৃষ্টিকর্ম আজ শুধু ভারতবর্ষের নয়, সমগ্র বিশ্বের সম্পদ। শিল্প-সাহিত্যের এমন কোনো শাখা খুঁজে পাওয়া দুষ্কর, যেখানে পৌঁছায়নি কবিগুরুর জাদুস্পর্শ।’
সাতক্ষীরা বন্ধুসভার সভাপতি কর্ণ বিশ্বাস বলেন, ‘সাহিত্যের সব শাখায় ছিল রবীন্দ্রনাথের বিচরণ। শত বছর আগে তাঁর রচিত গান, কবিতা ও গল্পগুলো আজও আমাদের হৃদয়ে দাগ কাটে।’ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রচার সম্পাদক তারিক ইসলাম।
আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন শিশুসাহিত্যিক আইনজীবী নুরুজ্জামান, কবি গাজী মোমিন উদ্দিন, উদীচী সাতক্ষীরার সাধারণ সম্পাদক সুরেশ পান্ডে, কবি মনিরুজ্জামান মুন্না, কবি স ম তুহিন, অতুল কুমার ঘোষ, বন্ধুসভার সাংস্কৃতিক সম্পাদক মোকাররাম বিল্লাহ, বইমেলা সম্পাদক মাসকুরা আক্তার, ম্যাগাজিন সম্পাদক সাগরিকা আক্তার, বন্ধু আবু তাহের, প্রশান্ত কুমার পাল, শামিম রেজা, সোমা রনী, তাহেরা দিলরুবা, আজিজুল হক প্রমুখ।
সভাপতি, সাতক্ষীরা বন্ধুসভা