ভৈরব বন্ধুসভার বর্ষাদর্শন

ভৈরব বন্ধুসভার বর্ষাদর্শনছবি: আনাস খান

বাংলাদেশের ছয় ঋতুর মধ্যে বর্ষা ঋতু শিল্পী, কবি থেকে শুরু করে সব মানুষের মনে প্রভাব ফেলে। বর্ষায় নতুন রূপে প্রকৃতি হাজির হয়।
‘উদ্‌যাপন করব বর্ষা, চারদিকে খুশির পসরা’ স্লোগানে গত শুক্রবার ভৈরব বন্ধুসভা ‘বর্ষাদর্শন’ আয়োজন করে। বিকেল চারটায় সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর সিঁড়িঘাট থেকে ৪০ জনের বন্ধুবহর নিয়ে আমাদের নৌকা ছাড়ে। শান্ত মেঘনা নদীতে আমাদের নৌকা চলল, বন্ধুদের উচ্ছ্বাসের সঙ্গে নীল আকাশে মেঘ–সূর্যের লুকোচুরি পাল্লা দিতে লাগল। আশুগঞ্জের লালপুর বাজার থেকে বন্ধুদের জন্য বিখ্যাত স্পঞ্জ মিষ্টি নিয়ে এলেন উপদেষ্টা জনি আলম। বন্ধুরা গান গেয়ে, ছবি তুলে উচ্ছ্বাসমুখর পরিবেশে সবাইকে মাতিয়ে রাখলেন। ঘণ্টাখানেক নদীপথে ভ্রমণের পর আশুগঞ্জসংলগ্ন একটি চরে ভোজন পর্ব শেষ করেন বন্ধুরা। তারপর আবার নৌকাভ্রমণ। শুরু হয় আলোচনা পর্ব। পর্বটি সঞ্চালনা করেন ভৈরব বন্ধুসভার অর্থ সম্পাদক মানিক আহমেদ।

ভৈরব বন্ধুসভার উপদেষ্টা সুমন মোল্লা অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, ‘২০১৬ সালে আমরা প্রথম বর্ষাদর্শন করি। সেই দিনের মধুর স্মৃতি মনে পড়লে আজও স্মৃতিকাতর হই। বেশ কয়েক বছর পর ভৈরব বন্ধুসভার বর্ষাদর্শন আয়োজনটি স্মৃতির পাতায় নতুন একটি দিন যুক্ত করল।’
প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন উপদেষ্টা আলাল উদ্দিন, জনি আলম, সুমাইয়া হামিদ, রাকিব হোসাইন, কার্যনির্বাহী সদস্য প্রিয়াংকা, সেলিম রেজা, সহসাংগঠনিক সম্পাদক এরফান হোসেন, পাঠচক্র ও পাঠাগার সম্পাদক জান্নাতুল মিশু, প্রচার সম্পাদক মহিমা মেধা, সাংস্কৃতিক সম্পাদক ফ্রমি হক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিদরাতুল রশিদ ও বন্ধু আর্থ কিশোর।

জেন্ডার ও সমতা সম্পাদক তানশি নাহার বলেন, ‘আমি ভ্রমণপ্রিয় কন্যা, আর সেটা যদি হয় নৌকাভ্রমণ, তাহলে তো কথায় নেই। বর্ষাদর্শন আয়োজনটিতে সদস্যসচিব হিসেবে কাজ করতে পেরে আমার খুবই ভালো লাগছে।’
আলোচনার ফাঁকে চলে লটারি পর্ব। এই পর্বে অংশ নেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, প্রাপ্তি ঘোষ, রাজন, তানশি নাহার।
সাধারণ সম্পাদক রিফাত হোসেন বলেন, ‘ভৈরব বন্ধুসভা ব্যতিক্রধর্মী আয়োজনগুলো করে থাকে, সেই ধারাবাহিকতার একটি হলো বর্ষাদর্শন। আয়োজনটিকে ঘিরে প্রথম আলো ভৈরব অফিস ছিল সরগরম। আমাদের বন্ধুদের মেসেঞ্জার গ্রুপে (সৃষ্টি সুখের উল্লাসে) বর্ষাদর্শন নিয়ে আলোচনা হতো প্রতিদিন। অবশেষে আয়োজনটিতে যুক্ত হতে পেরে আমারও ভালো লাগছে।’
লটারি ড্র পর্বটি সঞ্চালনা করেন সভাপতি নাহিদ হোসাইন। ১০ জন বিজয়ীর হাতে তুলে দেওয়া হয় বিভিন্ন পুরস্কার।

সভাপতি নাহিদ হোসাইন বলেন, ‘তারুণ্যই ভৈরব বন্ধুসভার শক্তি। তরুণেরা আছেন বলেই আমরা নতুন নতুন কাজ করার উৎসাহ পাই।’
আরও উপস্থিত ছিলেন ম্যাগাজিন সম্পাদক রাহিম আহমেদ, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক রাসেল আহমেদ, দপ্তর সম্পাদক আনাস খান, বন্ধু জিহাদ, শাদাব, অন্বেষাসহ আরও অনেকে।

সাংগঠনিক সম্পাদক, ভৈরব বন্ধুসভা