শতাধিক শিশুশিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের নিয়ে পিঠা উৎসব করেছে মোংলা বন্ধুসভা। গতকাল শনিবার মোংলা উপজেলার ব্রাহ্মণমেঠ গ্রামে এটি অনুষ্ঠিত হয়। শিশুরা স্থানীয় নগেন্দ্রনাথ শিশু শিক্ষা নিকেতনের শিক্ষার্থী।
২৭ জানুয়ারি রাত থেকেই শুরু হয় পিঠা তৈরির আয়োজন। বন্ধুসভার বন্ধুরা ও এলাকাবাসী মিলে তৈরি করেন কয়েক শ পিঠা। সকালে এসব বিতরণ করা হয় শিশুদের মধ্যে। সকাল ১০টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে উৎসব শুরু হয়।
উৎসবে কবিতা আবৃত্তি, নাচ ও গান পরিবেশনের মাধ্যমে মাতিয়ে রাখে শিশুরা। সাত বছর বয়সী মুহিন মণ্ডলকে নিয়ে আসেন তাঁর দাদি অঞ্জলি মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘উৎসবে এসে খুব ভালো লাগছে। সাধারণত সবাই বাড়িতে পিঠা তৈরি করে খাই। কিন্তু এখানে অনেক শিশু একসঙ্গে মিলেমিশে পিঠা খাওয়ার আনন্দ উপভোগ করছে। এর মাধ্যমে তারা আনন্দ ভাগাভাগি করতে শিখবে।’
আলোচনা পর্বে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসিফ ইকবাল বলেন, ‘বন্ধুসভার এ উদ্যোগ উদাহরণ হয়ে থাকবে অনেকের কাছে। তৃণমূল পর্যায়ে শিশুদের নিয়ে এমন কার্যক্রম সচরাচর হয় না বললেই চলে। শিশুদের এই সময় থেকে যদি বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া যায়, তাহলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আদর্শ বাঙালি হয়ে উঠতে পারবে।’
শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন মোংলা বন্ধুসভার সভাপতি প্রসেন মন্ডল। এরপর বন্ধুসভার কার্যক্রম ও সার্বিক বিষয়ে কথা বলেন প্রথম আলোর সংবাদদাতা ধীমান মন্ডল। তিনি বলেন, বন্ধুসভার বন্ধুরা সামাজিক ও মানবিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশকে সমৃদ্ধ করছে।
মোংলা উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. শাহীন বলেন, ‘এ উৎসবের মাধ্যমে শিশুরা আনন্দের সঙ্গে পিঠাগুলো গ্রহণের সুযোগ পেয়েছে। শিশুদের জাঙ্ক ফুড না খাইয়ে অভিভাবকরা যদি তাদের নাশতা হিসেবে পিঠা খাওয়ানোর অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন, তাহলে তারা রোগব্যাধি থেকে মুক্তি পাবে।’ উৎসবের সমাপ্তি ঘটে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা মন্মোথ নাথ বিশ্বাসের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে।
লেখা: সভাপতি, মোংলা বন্ধুসভা।