ওপরের দৃশ্যের বর্ণনাটা আষাঢ়ের দ্বিতীয় দিন, ১৪২৯ বাংলা, ১৬ জুন বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চের। সেখানে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভার আয়োজনে চলছিল চড়ুইভাতি ও বর্ষাবরণ উৎসব।
বিকেল থেকে বন্ধুরা দলে দলে মুক্তমঞ্চে আসতে শুরু করেন। পুরোটা সময় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে মুখর থাকে অনুষ্ঠানস্থল। সভাপতি রাফিয়া ইসলাম ভাবনার সঞ্চালনায় উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শক ও উপদেষ্টা তপন কুমার সরকার। তিনি বলেন, ‘বন্ধুসভার সবাইকে ভালো কাজে যুক্ত থেকে নিজেদের বিকশিত করতে হবে।’
বন্ধুসভার উপদেষ্টাদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি শেখ সুজন আলী, থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. আল জাবির, দর্শন বিভাগের শিক্ষক ও বঙ্গবন্ধু হলের হাউস টিউটর মো. তারিফুল ইসলাম।
আল জাবির আশা ব্যক্ত করে বলেন, ‘সব সময় বন্ধুসভার সঙ্গে ছিলাম আছি ও থাকব।’ এমন একটি আয়োজনের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ ও কদম ফুলের শুভেচ্ছা জানান তিনি। তারিফুল ইসলাম তাঁর বক্তব্যে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, ‘বন্ধুসভার গঠনমূলক ও সংস্কৃতিমনা কাজ দেখতে ভালো লাগে। তাই সব সময় বন্ধুসভার সঙ্গে থাকি।’
বন্ধুদের সঙ্গে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও নানা দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য পেশ করেন সভাপতি রাফিয়া ইসলাম ভাবনা ও সাধারণ সম্পাদক নওসাদ আল সাইম। আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভার সাবেক সভাপতি মানছূরা রিপা ও সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মনি।
সন্ধ্যায় বন্ধুদের রান্না শেষ হলে খাবার বিতরণ পর্ব শুরু হয়। শতাধিক বন্ধুর জন্য রান্না প্রস্তুত করা ছিল আরেকটি চ্যালেঞ্জ। তবে সবাই মিলে হাত লাগানোয় কাজটি সহজ হয়ে যায়। খাবারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন উপদেষ্টামণ্ডলীসহ উপস্থিত সবাই।
অনুষ্ঠান শেষ হয় সন্ধ্যার পর। বৃষ্টি একটু থামতেই বন্ধুরা সবাই খুশিমনে নিজ গন্তব্যে ফিরে যান। তার আগে সবাই চারপাশ পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন করে রেখে যায়।
লেখা: সাধারণ সম্পাদক, প্রথম আলো বন্ধুসভা, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়