সরিষাবাড়ী বন্ধুসভার উদ্যোগে কম্বল পেলেন ২০০ শীতার্ত
‘কম্বল পাইয়া বালাই হইল। অহন আর জাড়ে কষ্ট করণ লাগব না। আপনাগো আল্লাহ বাইচে রাখুক। কেউ আমগো খোঁজ নেয় নাই। আপনারা আমগো খোঁজ নিছ বাবা।’ বলছিলেন জামালপুর পৌর শহরের আরামনগর গ্রামের আবেদা বেওয়া।
৫ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বিকেলে স্থানীয় পাঠাগার আখড়ার মাঠে প্রথম আলো সরিষাবাড়ী বন্ধুসভার উদ্যোগে চারটি গ্রামের ১০০ শীতার্ত মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। কম্বল দিয়ে সহায়তা করেছেন স্থানীয় পাঠাগার আখড়ার প্রতিষ্ঠাতা খোকন সরকার।
পৌর শহরের আরামনগর, ভুরারবাড়ী, সামর্থ্যবাড়ী ও দাশেরবাড়ী গ্রামের ১০০ শীতার্ত মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়।
প্রচণ্ড শৈত্যপ্রবাহে পৌর শহরের দরিদ্র মানুষের কথা চিন্তা করে এ শীতবস্ত্র বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। শীতার্ত মানুষের হাতে কম্বল তুলে দেন জাতীয় তরুণ সংঘের চেয়ারম্যান ফললুল হক। কম্বল পেয়ে ভুরারবাড়ী গ্রামের বাহাতন বেগম (৬০) বলেন, ‘কম্বল পাইয়া বালাই হইল, এহন আর কষ্ট করণ লাগব না।’
এ ছাড়া ৯ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে সরিষাবাড়ী সরকারি পাইলট বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজের মাঠে আরও ১০০ ভূমিহীন ও অসহায় মানুষকে কম্বল দেওয়া হয়। কম্বল দিয়ে সহায়তা করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিহাব উদ্দিন আহমদ।
সাতপোয়া ইউনিয়নের চর রৌহা, পৌর শহরের শিমলাবাজার, শিমলাপল্লী ও কোনাবাড়ী গ্রামের ১০০ মানুষের হাতে এসব কম্বল তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিহাব উদ্দিন আহমদ।
কম্বল বিতরণে উপস্থিত ছিলেন সরিষাবাড়ী সরকারি পাইলট বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শহীদুর রহমান, সহকারী প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম, সরিষাবাড়ী বন্ধুসভার উপদেষ্ঠা মঞ্জুরুল ইসলাম, প্রথম আলো সরিষাবাড়ী প্রতিনিধি শফিকুল ইসলাম, সরিষাবাড়ী বন্ধুসভার সভাপতি প্রধান শিক্ষক ওয়াজেদা পারভীন, সহসভাপতি মাকসুদা আক্তার, সাধারণ সম্পাদক পারভেজ হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক শিপন মিয়া, মানবসম্পদ সম্পাদক আকিকুল্লাহ, ক্রীড়া সম্পাদক লাইজু ভুইয়া, পাঠাগার সম্পাদক সূচনা, সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুইটি আক্তারসহ বন্ধুসভার অন্য সদস্যরা।