শীতের সকালে রসের খোঁজে

নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছে শীতের সকালের রস উপভোগ করতে থাকেন সবাই
ছবি: বন্ধুসভা

সূর্য তখনো পুব আকাশে উঁকি দিচ্ছে। নতুন একটি দিনের সূচনালগ্নে একদল পথিকের ছুটে চলা রসের খোঁজে। শীত এসেছে, কুয়াশার চাদরে চতুর্দিক আচ্ছন্ন। কুয়াশা ভেদ করে শীতের আড়মোড়া ভেঙে রসের খোঁজে ছুটে চলা পথিকেরা কুষ্টিয়া বন্ধুসভার বন্ধু।

বছরের বেশির ভাগ দিন সকালের ঘুম বিসর্জন দিতে অপারগ বন্ধুটিও রস উৎসবের দিনে সবার আগে উপস্থিত হন অধীর আগ্রহে। খেজুরের রস না খেলে যেন শীতের আগমনী বার্তা পূর্ণাঙ্গ শোভা পায় না। কুষ্টিয়া শহরের প্রথম আলো অফিসের সামনে সকালে একে একে উপস্থিত হতে থাকেন বন্ধুসভার বন্ধুরা। ৩ ডিসেম্বর শুক্রবার সকাল সাড়ে ছয়টায় অটোযোগে রসের খোঁজে শহরের বাইপাস–সংলগ্ন মিনা পাড়ার উদ্দেশে রওনা হন বন্ধুরা।

নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছে শীতের সকালের রস উপভোগ করতে থাকেন সবাই
ছবি: বন্ধুসভা

কুয়াশাভেজা রাস্তায় এক মনোরম পরিবেশের আবহ সৃষ্টি হয়েছিল কুষ্টিয়ার মিনাপাড়ায়। নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছে শীতের সকালের রস উপভোগ করতে থাকেন সবাই। এ সময় বন্ধুসভার বন্ধু রুমার নিয়ে আসা মুড়ি রসকে আরও বেশি উপভোগ্য করে তোলে। রসের হাঁড়ি নিয়ে কিংবা রসের গ্লাস হাতে একটা ছবি তোলায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে প্রতিটি বন্ধু।

বন্ধুসভার বন্ধুদের খুনসুটিতে ব্যস্ত হয়ে উঠেছিল পরিবেশ। শীতের সকালে সূর্যোদয়ের সঙ্গে এক গ্লাস খেজুরের রস এক অন্য রকম অনুভূতির সঞ্চার করে। কুষ্টিয়া বন্ধুসভার বন্ধু রজনী, নাঈম, স্বর্ণা, অর্ণব, সোনিয়া, মেহেদী, শাহেদ, সজল, সোহেলী, জহিরসহ একঝাঁক বন্ধু উপস্থিত ছিলেন রস উৎসবে।

সভাপতি, কুষ্টিয়া বন্ধুসভা