ভৈরব বন্ধুসভার সংগীতায়োজন ‘বন্ধুর গান’

ভৈরব বন্ধুসভার সংগীতায়োজন ‘বন্ধুর গান’
ছবি: ভৈরব বন্ধুসভা

বাংলা চিরকালই সংগীতের দেশ। এখানকার মাঠে-প্রান্তরে কৃষক হাল চাষ করতে করতে গান বেঁধেছেন, নদী-খালে নৌকা বাইতে বাইতে মাঝিও গলা ছেড়ে গান ধরেছেন। এককথায় গান সাধারণ মানুষের জন্য শান্তির প্রতীক, সুখ-দুঃখের সঙ্গী।

প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক সুমন মোল্লা ভাই যখন বললেন, ভৈরব বন্ধুসভায় শুধু গান নিয়ে একটি আয়োজন করার ইচ্ছা অনেক দিনের। যেই কথা সেই কাজ। সভাপতি ইকরাম ভাই একটি উপকমিটি গঠন করে দিলেন। আমরা কাজ শুরু করি। বন্ধু তমা আয়োজনের নাম ঠিক করলেন ‘বন্ধুর গান’। ১৮ আগস্ট বুধবার সন্ধ্যায় বাংলা জনপ্রিয় কিছু গান নিয়ে সাজানো হলো গানের আসর।

ভৈরব বন্ধুসভার সংগীতায়োজন ‘বন্ধুর গান’
ছবি: ভৈরব বন্ধুসভা

জনপ্রিয় গণসংগীতশিল্পী ফকির আলমগীর করোনায় আক্রান্ত হয়ে না–ফেরার দেশে চলে গেছেন গত ২৩ জুলাই। তাঁর জীবন–কর্মের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তাঁর গাওয়া ‘নাম তার ছিল জন হেনরি’ গানটি সমবেত কণ্ঠে গেয়ে আয়োজনের সূচনা করেন বেশ কয়েকজন বন্ধু।

বন্ধুদের গানে গানে আসর জমে ওঠে। সানজিদা যখন গান ধরলেন ‘চিঠি দিয়ো প্রতিদিন’, তখন চলে গিয়েছিলাম সেই চিঠির যুগে। জেরিনের কণ্ঠে ‘আজ মন চেয়েছে আমি হারিয়ে যাব’ গানে সত্যিই হারিয়ে গিয়েছিলাম।

ভৈরব বন্ধুসভার সংগীতায়োজন ‘বন্ধুর গান’
ছবি: ভৈরব বন্ধুসভা

এ ছাড়া আরও গান পরিবেশন করেন জান্নাতুল প্রীতি, মাহমুদা তমা ও রনি বিশ্বাস। পুরো আয়োজন সরাসরি প্রচারিত হয় ভৈরব বন্ধুসভার পেজ থেকে। অনুষ্ঠান সমন্বয় করেন উপদেষ্টা জনি আলম। যন্ত্রানুষঙ্গে সহযোগিতা করেন লিটন মোল্লা ও জাকির হোসেন।

‘আয়নাবাজি’ ছবির ‘না বুঝি দুনিয়া’ গানটির মাধ্যমে আসর শেষ হয়। এ গানে সবার সঙ্গে সুর ধরেছেন অর্ণব সাহা, মানিক, রিফাত। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলাম আমি তানশি ও সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াংকা।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ভৈরব বন্ধুসভা