ভৈরব বন্ধুসভার বিজ্ঞানবিষয়ক কুইজ বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ

ভৈরব বন্ধুসভার বিজ্ঞানবিষয়ক কুইজ বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ
ছবি: সংগৃহীত

শেষ হলো ভৈরব বন্ধুসভার বিজ্ঞানবিষয়ক অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতা। ভৈরব বন্ধুসভার এই আয়োজন স্কুল ও কলেজ পর্যায়ের শিক্ষার্থীর মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলে। শুধু ভৈরব নয়, উত্তরবঙ্গের বগুড়া, দক্ষিণাঞ্চলের বরিশাল থেকে শুরু করে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতের জনপদ কক্সবাজার, রাজধানী শহর ঢাকা ও গাজীপুরের বিভিন্ন স্কুল–কলেজের শিক্ষার্থী এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন। সব মিলিয়ে প্রতিযোগীর সংখ্যা দাঁড়ায় ২৪৬।

প্রথম পর্বের প্রতিযোগিতা শেষে চূড়ান্ত পর্বে উন্নীত হয় ৪৪ জন। চূড়ান্ত পর্ব থেকে ২০ জনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। স্কুল থেকে ১০ জন আর কলেজ থেকে ১০ জন। ২০ বিজয়ীকে নিয়ে ১ অক্টোবর বিকেলে আয়োজন করা হয় পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান। প্রথম আলো ভৈরব কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে বিজয়ীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় বই। ১ অক্টোবর ছিল প্রথম আলোর কিশোর ম্যাগাজিন কিশোর আলোর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিজয়ী ও উপস্থিতজনদের হাতে একটি করে কিশোর আলো তুলে দেওয়া হয়।

ভৈরব বন্ধুসভার বিজ্ঞানবিষয়ক কুইজ বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ
ছবি: সংগৃহীত

পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রথম আলো ভৈরব কার্যালয়ের নিজস্ব প্রতিবেদক সুমন মোল্লা, বন্ধুসভার উপদেষ্টা জনি আলম, সভাপতি ইকরাম বখশ, সহসভাপতি নাহিদ হোসাইন, ছিদরাতুল রশিদ, আল আমিন তুষার, সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াংকা, সাংগঠনিক সম্পাদক সানজিদা সিদ্দিকা, বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক নাফিস রহমান, উপসাংগঠনিক সম্পাদক মানিক আহমেদ ও পাঠচক্র সম্পাদক রিফাত হোসেন বক্তব্য দেন।

ভৈরব বন্ধুসভার বিজ্ঞানবিষয়ক কুইজ বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ
ছবি: সংগৃহীত

বিজয়ীদের মধ্যে অনুভূতি ব্যক্ত করেন হাজী আসমত কলেজের শিক্ষার্থী আল ইমরান, রফিকুল ইসলাম মহিলা কলেজের জান্নাতুল ফেরদৌস, কালিপুর হাইস্কুলের নাবিদ মাহাবুব।

আল ইমরান বলেন, ‘বন্ধুসভার কর্মসূচির প্রতি আস্থা রয়েছে। সেই কারণেই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছি। অংশগ্রহণ ও পুরস্কার পাওয়া দুই-ই আমার জন্য অনেক গর্বের ছিল।’

জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘একসময় শিক্ষার্থীর মধ্যে বিজ্ঞানভীতি ছিল। এখন অনেকটা কমে আসছে। বিজ্ঞান নিয়ে আগ্রহ বাড়ছে। এই আগ্রহ সৃষ্টিতে প্রথম আলো ও বন্ধুসভার ভূমিকা রয়েছে।’

ভৈরব বন্ধুসভার বিজ্ঞানবিষয়ক কুইজ বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ
ছবি: সংগৃহীত

বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক নাফিস রহমান বলেন, ‘আমরা যখন আয়োজনের প্রস্তুতি নিয়েছিলাম, তখন করোনার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। ফলে আয়োজন সফল করা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু প্রতিযোগিতা ঘোষণার পর শিক্ষার্থীদের আগ্রহ আমাদের অভিভূত করে। সবচেয়ে আনন্দের ছিল অন্যান্য জেলার শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ।’

সভাপতি ইকরাম বখশ ও সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াংকা আয়োজন সফল করার বিষয়ে বন্ধুসভা জাতীয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মুমিত আল রশিদ ও সাধারণ সম্পাদক মৌসুমি মৌর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক, ভৈরব বন্ধুসভা