ভৈরব বন্ধুসভার পাঠচক্রে ‘সূর্য দীঘল বাড়ী’

ভৈরব বন্ধুসভার পাঠচক্রে ‘সূর্য দীঘল বাড়ী’
ছবি: বন্ধুসভা

‘সূর্য দীঘল বাড়ী’ গ্রামীণ পটভূমিতে রচিত একটি সামাজিক উপন্যাস। লেখক আবু ইসহাকের একটি শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি জীবনালেখ্য। উপন্যাসটিতে লেখক একজন নারীর সংগ্রামী জীবনের কথা আর পূর্ব বাংলার সমাজে পিছিয়ে পড়া, খেটে খাওয়া মানুষের জীবনচেতনা এবং কুসংস্কারকে তুলে ধরেছেন, যার ছাপ বর্তমান সমাজাচরণেও কিছুটা দৃশ্যমান। স্বামী পরিত্যক্ত এক নারীর বেঁচে থাকার সংগ্রাম এ উপন্যাসের প্রধান উপজীব্য।

ভৈরব বন্ধুসভার পাঠচক্রে ‘সূর্য দীঘল বাড়ী’
ছবি: বন্ধুসভা

আমাদের সমাজে এখনো অসংখ্য জয়গুন আর তারা পরাধীনতার শিকলে বন্দী। সভ্য সমাজের ভদ্রতার মুখোশ পরা মানুষগুলো সত্যিকারের মনুষ্যত্ববোধ অর্জন করতে পারেনি। অন্ধ বিশ্বাস আর ধর্মীয় গোঁড়ামির চাপে হারিয়ে যাচ্ছে স্বাধীনতা।

৯ এপ্রিল ভৌরব বন্ধুসভার আয়োজনে অনুষ্ঠিত পাঠচক্রের আলোচনায় অংশ নেন প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক সুমন মোল্লা, ভৈরব বন্ধুসভার সভাপতি ইকরাম বখশ, পাঠচক্র সম্পাদক রিফাত হোসেন, বন্ধু রাসেল আহমেদ রাজ, আরমান ও আনিকা।

ভৈরব বন্ধুসভার পাঠচক্রে ‘সূর্য দীঘল বাড়ী’
ছবি: বন্ধুসভা

সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াংকা আলোচনায় অংশ নিয়ে বলেন, ‘সূর্য দীঘল বাড়ীর প্রেক্ষাপট থেকে আমরা এখনো বের হয়ে আসতে পারিনি, জয়গুনদের টুটি চেপে ধরার জন্য লোক সমাজে এখনো বিদ্যমান। তবে আমরা স্বপ্ন দেখি, স্বাধীনতার সঠিক স্বাদ একদিন সবাই পাবে, মনুষ্যত্বের আলোয় আমরা সবাই আলোকিত হয়ে পরিশুদ্ধ করে নেব নিজেদের।’

পাঠচক্রের আসরটি ফেসবুকে সরাসরি প্রচার করা হয়। অসংখ্য বন্ধু লাইভটি উপভোগ করেন।

ভৈরব বন্ধুসভার পাঠচক্রে ‘সূর্য দীঘল বাড়ী’
ছবি: বন্ধুসভা