বগুড়া সদরের সুলতানগঞ্জপাড়া এলাকার বাসিন্দা মো. আবদুস সাত্তার। পেশায় তিনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বাররক্ষক। বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে এক বছরের বেশি সময় বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় আবদুস সাত্তারের চাকরি চলে যায়। পাচ্ছেন না নতুন কোনো কাজ। বগুড়া বন্ধুসভার ঈদ উপহার পেয়ে আবদুস সাত্তার বলেন, ‘বাড়িতে গত ঈদেও করোনার কারণে কিছু জোটেনি। এই সাহায্যটুকুর জন্য অন্তত ঈদের সময়টা কিছুটা ভালো কাটবে।’
একই অবস্থা বগুড়ার ফুলবাড়ী এলাকার বাদাম বিক্রেতা আবদুল মালেকের। তিনি বলেন, ‘করোনার জন্য এখন স্কুল-কলেজ সব বন্ধ। ব্যবসা এখন নাই বললেই চলে। কষ্ট করে কয়েক মাসে যেই দুইডা পয়সা জমায়ছিলাম তা দিয়ে দুই ছোলের জামা কাপড় কোনোমতে কিনলেও ঈদের বাজার করার জন্য পকেটেত আর কিছুই বাঁচে না। কারও কাছে কিছু চাইতেও পারি না। আপনাগেরে এই ত্রাণের জিনিস পাইয়ে খুব ভালো হলো। ছোল দুইডা খুব খুশি হবি।’
এভাবেই ১০ মে সোমবার বগুড়া বন্ধুসভা ৫০টি কর্মহীন পরিবারের হাতে ঈদের উপহারসামগ্রী তুলে দেয়। বগুড়া বন্ধুসভার বন্ধুরা কেউ তাঁদের জমানো অর্থ আবার কেউ তাঁদের ঈদের নতুন জামা কেনার কিছু অংশ দিয়ে এসব উপহারসামগ্রী ক্রয় করেন। উপহারসামগ্রীর মধ্যে ছিল সেমাই, চিনি, চাল, মসুর ডাল, লবণ ও আলু।
বগুড়া শহরের আলোর মেলা কেজি হাইস্কুল-সংলগ্ন পার্ক ও জেলখানা এলাকায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে এসব ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়। এই সময় উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলো বগুড়া বন্ধুসভার সভাপতি জিয়াউল ইসলাম প্লাবন, সাধারণ সম্পাদক এস কে কাব্য, সহসভাপতি এস এম রিয়াজুল আলম, উপসাংগঠনিক সম্পাদক সায়েম নিশাত ও প্রচার সম্পাদক আদিল উজ্জামান।