পৃথিবী একটাই, আসুন পৃথিবী বাঁচাই

পৃথিবী একটাই, আসুন পৃথিবী বাঁচাই

‘পৃথিবী একটাই, আসুন পৃথিবী বাঁচাই’ প্রতিপাদ্য ধারণ করে ৫ জুন, বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত হয়েছে প্রথম আলো বন্ধুসভার বিশেষ আয়োজন।

ভার্চ্যুয়াল এ আয়োজনে আলোচক হিসেবে যুক্ত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মনোয়ার হোসেন, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শিমুল চন্দ্র সরকার এবং চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের নির্বাহী পরিচালক মো. জাকির হোসেন। আয়োজনের সঞ্চালক ছিলেন বন্ধুসভা জাতীয় পরিচালনা পর্ষদের ম্যাগাজিনবিষয়ক সম্পাদক ফাহমিনা বর্ষা।

শুরুতেই সীতাকুণ্ড বি এম কনটেইনার ডিপোতে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে হতাহত এবং ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের প্রতি শোক প্রকাশ করা হয়। পাশাপাশি ওই ঘটনায় এগিয়ে আসা চট্টগ্রাম বন্ধুসভার বন্ধুদের সহায়তামূলক উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন আলোচকেরা। মানবসৃষ্ট বিপর্যয় এড়াতে বন্ধুদের করণীয় সম্পর্কে মতামত জানিয়েছেন চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের নির্বাহী পরিচালক মো. জাকির হোসেন।

পরে পৃথিবীতে মানুষসহ অন্যান্য প্রাণের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মনোয়ার হোসেন। আলোচনার একপর্যায়ে তিনি প্রাণের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে বৃক্ষরোপণের পাশাপাশি অন্যান্য কার্যকর উদ্যোগে বন্ধুসভার বন্ধুরা নিজেদের জায়গা থেকে কতটুকু ভূমিকা রাখতে পারেন, সে বিষয়ে আলোকপাত করেন।

জলবায়ু পরিবর্তন কৃষিনির্ভর বাংলাদেশের খাদ্য খাতে কী প্রভাব রাখছে, তা নিয়ে আলোচনা করেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শিমুল চন্দ্র সরকার। কৃষিক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া ইনসেক্টিসাইড এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি বন্ধুদের করণীয় সম্পর্কে জানিয়েছেন তাঁর সুচিন্তিত মতামত।

চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের নির্বাহী পরিচালক মো. জাকির হোসেন তাঁদের সাম্প্রতিক উদ্যোগ ইয়ুথ ফর ক্লাইমেট সার্ভেতে উঠে আসা চাঞ্চল্যকর তথ্য বন্ধুদের জানানোর পাশাপাশি কীভাবে প্লাস্টিকসহ যাবতীয় ক্ষতিকর পণ্য ব্যবহারে সচেতনমূলক আচরণ করতে হবে, সেই নির্দেশনা দিয়েছেন।

সবশেষে আয়োজনের সঞ্চালক বন্ধুসভা জাতীয় পরিচালনা পর্ষদের ম্যাগাজিনবিষয়ক সম্পাদক ফাহমিনা বর্ষা, উপস্থিত অতিথি এবং বন্ধুদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান। পাশাপাশি ‘কার্যকরী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ২০২২’ উদ্যোগ নিয়ে শিগগিরই কাজ শুরু হতে যাচ্ছে—এ আশাবাদ ব্যক্ত করে লাইভ আয়োজনের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।