নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে আত্মরক্ষামূলক কর্মশালা

১১ নভেম্বর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সনদ প্রদান করা হয়
ছবি: সংগৃহীত

প্রতিদিনের পত্রিকার পাতা ওল্টালেই চোখে পড়ে নির্যাতিত, অবহেলিত, বিচারহীন হাজারো নারীর আর্তনাদের গল্প। নোংরা মানসিকতার কিছু মানুষ মনে করেন নারী দুর্বল, অবলা। তাঁদের ওপর যতই নির্যাতন করা হোক না কেন প্রতিবাদ ও প্রতিরক্ষার ক্ষমতা তাঁদের নেই। এই ভাবনার পরিবর্তনের লক্ষ্যে নারী যেন যেকোনো পরিস্থিতিতে নিজেকে রক্ষা করতে পারে, এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে আত্মরক্ষামূলক কর্মশালা করেছে ঝিনাইদহ বন্ধুসভা।

৫ নভেম্বর বৃহস্পতিবার থেকে আরম্ভ হয়ে ১১ নভেম্বর সমাপনী অনুষ্ঠিত হয় এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সনদ প্রদান করা হয়। কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছেন শহরের ৩২ জন মেয়ে, যাঁরা সবাই স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। প্রশিক্ষণ দিয়েছেন কাজী আলি আহমেদ লিকু এবং মো. রমজান আলী সন্তু।

সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার মুনতাসীরুল ইসলাম। প্রধান অতিথি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নারীদের সাধুবাদ জানান এবং আইনের শাসনের প্রতি আস্থা রেখে তাঁদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, একজন ব্যক্তি আইন ভঙ্গ না করেও অন্যায়ের শিকার হলে নির্ভয়ে তিনি যেন আইনের প্রতি আস্থা রাখেন, আইন তাঁকে সুবিচার দিতে বাধ্য।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চেম্বার অব কমার্সের সহসভাপতি নাসীম উদ্দীন এবং সরকারি নুরুন্নাহার মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সুষেন্দু কুমার ভৌমিক। আরও উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ বন্ধুসভার উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্যরা এবং প্রথম আলোর জেলা প্রতিনিধি আজাদ রহমান।

কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছেন শহরের ৩২ জন মেয়ে
ছবি: সংগৃহীত

প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী উম্মে ফারিহা প্রভা জানান, ‘সপ্তাহব্যাপী আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণে নারীর প্রতি বেড়ে যাওয়া সহিংসতা রুখে দিতে শিখেছি, আরও শিখেছি কতগুলো প্রতিহতমূলক কৌশল, যা আয়ত্ত করে শির আরেকবার উচ্চে তুলে ধরতে ইচ্ছার সঞ্চার ঘটে।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঝিনাইদহ বন্ধুসভার আহ্বায়ক সাকিব মোহাম্মদ আল হাসান। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, নারীরা সাহসী ভূমিকা নিয়ে এগিয়ে এলেই সব অন্ধকার কেটে যাবে, দূর হবে নারীর প্রতি সহিংসতা।