নরসিংদী বন্ধুসভার ভার্চ্যুয়াল বর্ষবরণ

নরসিংদী বন্ধুসভার ভার্চ্যুয়াল বর্ষবরণ
ছবি: সংগৃহীত

অনুষ্ঠিত হলো নরসিংদী বন্ধুসভার বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। গতকাল পয়লা বৈশাখ বেলা ১১টায় গুগল মিটের মাধ্যমে বন্ধুদের অংশগ্রহণে ভার্চ্যুয়াল এই বর্ষবরণ অনুষ্ঠিত হয়। উপদেষ্টা রায়হানা সরকারের নেতৃত্বে জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। বন্ধু অপর্ণা সাহা ও হৃদিকা সাহার দ্বৈত কণ্ঠে ‘এসো হে বৈশাখ, এসো এসো’ গানের মাধ্যমে বন্ধুরা নতুন বর্ষ ১৪২৮–কে বরণ করে নেন।

অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন নরসিংদী বন্ধুসভার উপদেষ্টা রায়হানা সরকার, প্রথম আলোর নরসিংদী প্রতিনিধি প্রণব কুমার দেবনাথ এবং নরসিংদী বন্ধুসভার সভাপতি পল্টন চন্দ্র দাস।

বন্ধু অপর্ণা সাহা রবীন্দ্রসংগীত ‘তোমার খোলা হাওয়া’ ও হৃদিকা সাহা ‘বৈশাখের বিকেল বেলায়’ গান পরিবেশন করেন। বন্ধু চিত্রা পোদ্দার বৈশাখী গানে নৃত্য পরিবেশন করেন। বন্ধু দুর্জয়ের ইলিশ নিয়ে নতুন রেসিপির কথা আর বন্ধু রফিকের কৌতুকে আনন্দে মেতে ওঠেন নরসিংদী বন্ধুসভার বন্ধুরা।

প্রায় দুই ঘণ্টার এই ভার্চ্যুয়াল অনুষ্ঠানে বন্ধুদের শৈশবের স্মৃতিচারণায় আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। বৈশাখী মেলায় যাওয়া, নগরদোলায় ওঠা, বাড়ি থেকে দেওয়া দুই–পাঁচ টাকা নিয়ে মেলায় যাওয়া, আইসক্রিম খাওয়া, জিলাপি অথবা নিমকি কিনে কয়েকজন মিলে ভাগ করে খাওয়া, বৈশাখী মেলায় পুতুলনাচ দেখা, সার্কাস দেখা, ছোটবেলায় বাবার হাত ধরে হালখাতায় যাওয়া, মিষ্টি খাওয়া ইত্যাদি বিভিন্ন গল্প আর আড্ডায় জমজমাট হয়ে উঠে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানটি।

নরসিংদী বন্ধুসভার ভার্চ্যুয়াল বর্ষবরণ
ছবি: সংগৃহীত

সভাপতি পল্টন চন্দ্র দাস পয়লা বৈশাখ প্রচলন কীভাবে শুরু হলো, বৈশাখের তাৎপর্য, হালখাতার প্রচলন ইত্যাদি বিষয়ে ইতিহাসনির্ভর বক্তব্য দেন। উপদেষ্টা রায়হানা সরকার বলেন, ‘সকল গ্লানি, জরা দূর হয়ে যাক। করোনামুক্ত বিশ্ব হোক আমাদের সবার। সব কালো দূর হয়ে যাক, আলো আসুক ফিরে সবার জীবনে।’

নরসিংদী বন্ধুসভার ভার্চ্যুয়াল বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পল্টন চন্দ্র দাস ও উপস্থাপনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক হৃদয় সাহা।

নরসিংদী বন্ধুসভার ভার্চ্যুয়াল বর্ষবরণ
ছবি: সংগৃহীত