‘টুঙ্গিপাড়ার খোকা থেকে বঙ্গবন্ধু হয়ে ওঠা’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভার ভার্চ্যুয়াল পাঠচক্র
ছবি: সংগৃহীত

টুঙ্গিপাড়ার খোকা থেকে বঙ্গবন্ধু হয়ে ওঠা। ব্রিটিশ সরকারের ষড়যন্ত্র, পাকিস্তানের শোষণ-বঞ্চনা থেকে দীর্ঘ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ। আমাদের আগামী স্বপ্ন, স্বাধীন বাংলাদেশ। সবকিছুই উঠে এসেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থে। ৬ আগস্ট শুক্রবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভার উদ্যোগে ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থ নিয়ে এক ভার্চ্যুয়াল পাঠচক্র অনুষ্ঠানে বন্ধুসভার সদস্যরা এসব কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভার সদস্য ও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এ অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
বন্ধুসভার সদস্যরা জানান, বাঙালির শোকাবহ আগস্ট মাসে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবার হত্যা করে একদল বিপথগামী সেনাসদস্য। বঙ্গবন্ধুর জীবনী জানতে ও তাঁর পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা ও স্মরণে ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বইটি নির্ধারণ করা হয়। পাঠচক্র পরিচালনা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভার সহসভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌস জুঁই। অনুষ্ঠানের শুরুতে তিনি বইয়ের বিশেষ বিশেষ অংশ পড়ে শোনান।

জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শুধু একজন রাজনৈতিক নেতাই ছিলেন না—ছোটবেলা থেকে তাঁর মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ, সহানুভূতির বিভিন্ন গল্প আমরা জেনেছি। অল্প সময়ে তিনি বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে তাঁর দক্ষতা দেখিয়েছেন। তাঁর ব্যক্তিজীবনের ঘটনা, পরিবেশ পরিস্থিতি বইয়ে উঠে এসেছে; যা বাঙালির গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষণীয়।’
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভার সমাজকল্যাণ সম্পাদক মাফিয়া মেহেজাবীন গ্রন্থটি থেকে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো পড়ে শোনান ও আলোচনা করেন। তিনি পাঠচক্রে অংশগ্রহণকারীদের গুরুত্ব দিয়ে গ্রন্থটি পড়তে অনুরোধ জানান।

বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভার সদস্য সোহাগ রাসিফ বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নিয়েও বঙ্গবন্ধুর ভাবনা ছিল। ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বইয়ের ৯ পৃষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু জগন্নাথের নাম উল্লেখ করে বলেন, জগন্নাথ কলেজ (বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয়), মিটফোর্ড, মেডিকেল, স্কুল, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, বিশেষ করে সক্রিয় আন্দোলনে অংশগ্রহণ করত। ১১০ পৃষ্ঠায় বলেন, মাঝেমধ্যে জগন্নাথ কলেজ, মিটফোর্ড, মেডিকেল ও স্কুলের ছাত্ররা শোভাযাত্রা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে রওনা করলেই হঠাৎ তাদের আক্রমণ করে মারপিট করত। তখন থেকেই দেশের আন্দোলন–সংগ্রামে জগন্নাথের শিক্ষার্থীরা যেভাবে ঝাঁপিয়ে পড়তেন, এখনকার শিক্ষার্থীরা এ থেকে শিক্ষা নিতে পারেন।
পাঠচক্রের শেষ পর্যায়ে অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া বন্ধুরা নিজেদের মধ্যে গ্রন্থটি নিয়ে আলোচনা করেন।