জার্মানি বন্ধুসভা ও বার্লিনের ক্রিকেট ক্লাবের আনন্দময় বিকেল

জার্মানি বন্ধুসভা ও বার্লিনের ক্রিকেট ক্লাবের আনন্দময় বিকেল।
ছবি: সংগৃহীত

প্রথম আলো বন্ধুসভা জার্মানি ও বার্লিনের বাংলাদেশি ক্রিকেট ক্লাবগুলোর সম্মিলিত আয়োজনে ৪ জুলাই রোববার বিকেল ৫টায় বার্লিনের টেম্পেলহফার মাঠে অনুষ্ঠিত হলো বারবিকিউ পার্টি ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। করোনার দীর্ঘ সময় পর বার্লিনের বাঙালিদের এই মিলনমেলায় অংশগ্রহণ করেন শিশু-কিশোর, নবীন-প্রবীণ সবাই।

জার্মানি বন্ধুসভা ও বার্লিনের ক্রিকেট ক্লাবের আনন্দময় বিকেল।
ছবি: সংগৃহীত

সব মিলিয়ে দিনটি ছিল রৌদ্রোজ্জ্বল, যাকে বলে গ্রিল পার্টি করার জন্য একদম লাগসই। শুরুতেই আমরা সবাই একত্র হই মাঠে। সেখানে কয়লা আর আগুন দিয়ে গ্রিল মেশিন সেট করা হয়। আমরা গ্রিল করার মেরিনেটেড মাংস ও সবজি ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের কোমল পানীয়সহ বসে যাই আড্ডা দিতে। অনেকে ফ্রিজবি নিয়ে খেলতে শুরু করে দেয়। পাশাপাশি একটা গ্রুপ গিটার নিয়ে গানের আসর বসায়। যদিও তখনো আমাদের মূল গানের আসর শুরু হয়নি।

জার্মানি বন্ধুসভা ও বার্লিনের ক্রিকেট ক্লাবের আনন্দময় বিকেল।
ছবি: সংগৃহীত

বহুদিন পর সবাই যেন প্রাণ ফিরে পাওয়ার মতো অবস্থা। অনুষ্ঠানটি সব বাংলাদেশির জন্য উন্মুক্ত ছিল। তাই এই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশি কুল্টুরাল ফোরামের সিনিয়র সদস্যরা আমাদের সঙ্গে একাত্মতা জানাতে এসেছিলেন। অনেকে নিজেদের মতো করে বসার জন্য চাদর বা মাদুর নিয়ে আসেন। কেউবা সঙ্গে এনেছিলেন ফোল্ডেড চেয়ার। কারও সঙ্গে ছিল মিউজিক প্লেয়ার। বিশেষ কোনো উৎসব না হলেও চারদিকে উৎসবের আমেজ ছিল বিরাজমান। খাওয়া আর আড্ডার ফাঁকে ফাঁকে যে যার মতো মোবাইল বা ডিএসএলআর দিয়ে নিজের বা দলীয় ছবি তুলেছি। এরই মধ্যে রুহুল আমিন তাঁর দক্ষ হাতের ডিএসএলআর দিয়ে সবার কিছু দলীয় ছবি তুলে দেন।

জার্মানি বন্ধুসভা ও বার্লিনের ক্রিকেট ক্লাবের আনন্দময় বিকেল।
ছবি: সংগৃহীত

খাওয়ার পর্ব শেষে সবাই এক জায়গায় গোল হয়ে গানের আসরে বসে গেলাম সংগীতশিল্পীদের গান শুনতে। প্রথমেই সবার প্রিয় অপূর্ব বিশ্বাস শোনালেন তাঁর মনোমুগ্ধকর সুরের গান। এরপর মিতালি মুখোপাধ্যায় সুরেলা কণ্ঠে সবার মন মাতালেন রবীন্দ্রসংগীত গেয়ে। মোহাম্মাদ শানিজাম গিটার আর সুরে আসর জমিয়ে তোলেন। সবশেষে শোয়েব আদনান ও বায়েজিদ মহাম্মদের গিটারের জ্যামিংয়ে মন মাতাল হয়ে যায় সবার। ধীরে ধীরে সন্ধ্যা নেমে এল। এবার বাড়ি ফেরার পালা। এভাবেই গান-আড্ডা আর বাহারি খাবারে বার্লিনে বাঙালিদের কাটল একটি অসম্ভব সুন্দর দিন।