জহির রায়হান নিখোঁজের পঞ্চাশ বছর উপলক্ষে নোয়াখালী বন্ধুসভার আয়োজন

‘জহির রায়হান নিখোঁজের পঞ্চাশ বছরে’ শীর্ষক সভা
ছবি: বন্ধুসভা

প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার, ঔপন্যাসিক ও গল্পকার জহির রায়হানের ৫০তম অন্তর্ধান দিবস ছিল ৩০ জানুয়ারি। জহির রায়হানের জন্ম ১৯৩৫ সালের ১৯ আগস্ট বৃহত্তর নোয়াখালী জেলায়। ১৯৭২ সালের ৩০ জানুয়ারি অগ্রজ সাংবাদিক ও লেখক শহীদুল্লা কায়সারের সন্ধানে বেরিয়ে তিনি আর ফিরে আসেননি।

জহির রায়হানের ৫০তম অন্তর্ধান দিবসে ‘জহির রায়হান নিখোঁজের পঞ্চাশ বছরে’ শীর্ষক সভা আয়োজন করে নোয়াখালী বন্ধুসভা। ৩০ জানুয়ারি রাত আটটায় ভার্চ্যুয়াল এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

নোয়াখালী বন্ধুসভার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসিফ আহমেদের সঞ্চালনা সভায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী বন্ধুসভার উপদেষ্টা ও নোয়াখালী সরকারি কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক আনন্দ কিশোর।

আলোচনায় উঠে আসে বাংলাদেশের সাহিত্য, চলচ্চিত্র ও সংস্কৃতিতে জহির রায়হানের অবদানের বিভিন্ন দিক। আনন্দ কিশোর বলেন, বাংলাদেশের সাহিত্যের নতুন একটা ধারা তৈরির পেছনে জহির রায়হানের অবদান অন্যতম। পঞ্চাশের দশকে জহির রায়হানকে নিয়ে খুব মুখরোচক কিছু গল্প চাউর ছিল। লোকমুখে শোনা যেত, জহির রায়হান ঘণ্টার পর ঘণ্টা চায়ের দোকানে বসে থাকতেন। মানুষের কথাবার্তা শুনতেন। সেই কথাবার্তা তিনি তাঁর গল্পের চরিত্রগুলোর মধ্যে নিয়ে আসতেন।

নোয়াখালী বন্ধুসভার বন্ধুরা জহির রায়হানের উপন্যাস ও চলচ্চিত্রগুলো নিয়ে পর্যালোচনা করেন। সহসভাপতি পূজা ভৌমিক এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নতুন অনেক তথ্য জানতে পেরে আনন্দ প্রকাশ করেন।

সভায় উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী বন্ধুসভার সাবেক সভাপতি মহিউদ্দিন রাতুল, প্রশিক্ষণ সম্পাদক আরাফাত হোসেন, পরিবেশ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক উম্মে ফারিন, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক পার্বণ ভৌমিক প্রমুখ।

সভার শেষ দিকে প্রদর্শন করা হয় জহির রায়হান নির্মিত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ওপর নির্মিত প্রামাণ্য চলচ্চিত্র ‘স্টপ জেনোসাইড’। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশ্বজনমত গঠনে ব্যাপক প্রভাব রাখা এই প্রামাণ্য চলচ্চিত্রটি নোয়াখালী বন্ধুসভার বন্ধুরা উপভোগ করেন।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, নোয়াখালী বন্ধুসভা