‌‘চাল-ডাল পায়া কয়টা দিন ভালোই খাবার পামু’

প্রথম আলো ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনায় ২০০টি বন্যার্ত পরিবারের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন কুড়িগ্রাম বন্ধুসভার বন্ধুরা
ছবি: বন্ধুসভা

‘তোমারগুলার ভালো হোক বাবারা হামাক কাইও কিছুই দেয় না, তোমার চাল, ডাল, তেল, মরিচ পেঁয়াজ, রসুন সোগ পায়া কয়টা দিন ভালোই খাবার পামু।’ ৩ জুলাই কুড়িগ্রামের বন্যাকবলিত তিনটি চরে ত্রাণ দিয়েছে কুড়িগ্রাম বন্ধুসভা। খাদ্যসহায়তা পেয়ে খুশি হয়ে বন্ধুদের এসব কথা বলেছেন ব্যাপারীর চরের ৫০ বছর বয়সী জমিলা খাতুন।

৩ জুলাই প্রথম আলো ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনায় ২০০টি বন্যার্ত পরিবারের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন কুড়িগ্রাম বন্ধুসভার বন্ধুরা। এর মধ্যে ব্যাপারীর চরে ১২০টি, নুন খাওয়া চরে ৫০টি ও রসুলপুর চরে ৩০টি পরিবারকে সহায়তা দেওয়া হয়।

প্রথম আলো ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনায় ২০০টি বন্যার্ত পরিবারের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন কুড়িগ্রাম বন্ধুসভার বন্ধুরা
ছবি: বন্ধুসভা

নুন খাওয়া চরের নুর ইসলাম খাদ্যসহায়তা পেয়ে বলেন, ‘বন্যার পর আবার নদীভাঙন হইছে, এহনও কোনো ত্রাণের মুখ দেহি নাই বাহে।’ এভাবেই নিজেদের আনন্দ প্রকাশ করেন ত্রাণ নিতে আসা বানভাসিরা। প্রতিটি প্যাকেটে ছিল পাঁচ কেজি চাল, এক কেজি তেল, এক কেজি আলু, এক কেজি ডাল, এক কেজি পেঁয়াজ, লবণসহ প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্য।

৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে শুরু হয় খাদ্যসামগ্রী কেনা। সকাল ১০টার মধ্যে কেনাকাটা শেষ করে প্যাকেটজাত করায় লেগে যান বন্ধুরা। ২০০টি প্যাকেট প্রস্তুত করতে দুপুর পার হয়ে যায়। বেলা তিনটার দিকে সেগুলো ট্রাক্টরে করে প্রায় ১২ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ঘোগাদহ নদীর ঘাটে পৌঁছায়। এরপর সেখান থেকে নৌকায় দুধকুমার, সংকোশ, ব্রহ্মপুত্র নদ পাড়ি দিয়ে বন্যাকবলিত চর তিনটিতে খাদ্যসহায়তা পৌঁছে দেন বন্ধুরা।

কুড়িগ্রামের বন্যাকবলিত তিনটি চরে ত্রাণ দিয়েছে কুড়িগ্রাম বন্ধুসভা
ছবি: বন্ধুসভা

মহৎ এই কাজে উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রাম বন্ধুসভার উপদেষ্টা ও প্রথম আলোর প্রতিনিধি সফি খান, মোখলেছুর রহমান, জাহানুর রহমান, সহসভাপতি ঊর্মি আক্তার, ভরসা সাহা, সজল মোহন্ত, দুলাল, রাকিব, রিফাত, মুন্না, তন্ময়, শাওন, গৌরব, প্রান্ত, আতিকসহ আরও বন্ধু।

সভাপতি, কুড়িগ্রাম বন্ধুসভা