চাল-ডাল পাইছি, এহন বাচ্চা–কাচ্চাদের নিয়ে খাব

ত্রাণ নিয়ে বন্যার্তদের পাশে সিলেট বন্ধুসভার বন্ধুরাছবি: বন্ধুসভা

দ্বিতীয় দফায় সিলেটে বন্যা আসার পর থেকে অসংখ্য পরিবার শুধু শুকনা খাবার খেয়ে বেঁচে আছে। আবার অনেক এলাকায় পানি বেশি থাকায় ত্রাণ পৌঁছায়নি। এখন পানি কমে যাওয়ায় ত্রাণ নিয়ে হাজির হচ্ছেন বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবীরা। সেগুলো পেয়ে অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফুটেছে। গতকাল বুধবার সুরমা নদীর তীরবর্তী কাজিরবাজারে ত্রাণ দিতে গিয়ে এমন দৃশ্য দেখেছেন সিলেট বন্ধুসভার বন্ধুরা।

বন্যার্তদের পাশে সিলেট বন্ধুসভার বন্ধুরা।
ছবি: বন্ধুসভা

তাঁর মতো এমন প্রায় শতাধিক মানুষ ত্রাণ নিতে আসেন। ৪৩ বছর বয়সী এক ব্যক্তি বলেন, ‘বন্যার কারণে কাজকাম করতে পারতেছি না। বাচ্চা–কাচ্চা না খেয়ে আছে। এহন পানি কিছুটা কমছে। আপনাদের কাছ থেকে চাল-ডাল পেয়ে অনেক খুশি লাগতেছে।’

বন্যা আসার পর থেকে শুকনো খাবার খেয়ে বেঁচে আছেন এই মহিলা, এখন চাল-ডাল পেয়ে তিনি খুবই খুশি
ছবি: বন্ধুসভা

এদিন প্রথম আলো ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনায় ১০০টি বন্যার্ত পরিবারের হাতে খাদ্রসামগ্রী তুলে দিয়েছে প্রথম আলো বন্ধুসভা সিলেট। প্রতিটি প্যাকেটে ছিল ৫ কেজি চাল, ১ কেজি মসুর ডাল, এ লিটার সয়াবিন তেল, ১ কেজি আটা, ১ কেজি লবণ, ১০০ গ্রাম গুঁড়ামরিচ ও ১০০ গ্রাম গুঁড়াহলুদ। ত্রাণ পেয়ে সবার মুখে ছিল তৃপ্তির হাসি।

ত্রাণ পেয়ে খুশি বন্যার্তরা
ছবি: বন্ধুসভা

অপূর্ব সুন্দর এই অঞ্চল এখন হাহাকারে পূর্ণ। চারদিক যেন বিষাক্ত হয়ে উঠেছে। স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে বেঁচে থাকা দায়, বাতাসে ভেসে আসছে দুর্গন্ধ। এ যেন এক ভিন্ন শহর, ভিন্ন গ্রাম। সবকিছু হঠাৎ করেই বড্ড অচেনা। এমন পরিবেশেও মানুষ টিকে আছে। বানের স্রোতে ভেসে গেছে ঘরবাড়ি। একই স্রোতে ভেসে এসেছে নোংরা আবর্জনা, পানি কমে গেলেও পড়ে রয়েছে আনাচে–কানাচে, দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে চারপাশে। নিশ্বাস নেওয়া ভীষণ কষ্টের হয়ে উঠেছে।

লেখা: সভাপতি, প্রথম আলো বন্ধুসভা সিলেট