চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভার দশম বর্ষে পদার্পণ

‘শুদ্ধ বন্ধুত্ব, উজ্জীবিত স্বদেশ’ স্লোগানকে সামনে রেখে হাঁটি হাঁটি পা পা করে দশম বর্ষে পদার্পণ করল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভা। বন্ধুসভা একটি অসাম্প্রদায়িক, প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক এবং স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নুরুল আবরারের হাত ধরে ২০১১ সালের ২৯ মে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভা প্রতিষ্ঠিত হয়।

চবি বন্ধুসভার দশম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে ‘এক পরিচয়ে গাঁথা বন্ধুত্বের সুতোয়’ শিরোনামে ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছয় দিনব্যাপী আয়োজিত হয় ভার্চ্যুয়াল মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। পুরো অনুষ্ঠান প্রচার করা হয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভার ফেসবুক পেজে।

প্রথম আলো বন্ধুসভা জাতীয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ড. মুমিত আল রশিদের শুভেচ্ছা বক্তব্যের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর সংক্ষিপ্ত আলোচনায় অংশ নেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও চবি বন্ধুসভার সাবেক সভাপতি সাঈদ আহসান খালিদ; চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও বায়োটেকনোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবং চবি বন্ধুসভার প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি ও বর্তমান উপদেষ্টা ড. আদনান মান্নান; চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও চবি বন্ধুসভার বর্তমান উপদেষ্টা মাধব দীপ; চবি বন্ধুসভার সাবেক অর্থ সম্পাদক দেবাংশু মিত্র; চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগের প্রভাষক এবং চবি বন্ধুসভার বর্তমান সভাপতি তাসনিম মুশাররাত।

এই আয়োজনে নাচ, গান ও কবিতায় মেতেছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভার বন্ধুরা। এ ছাড়া ছিলেন চট্টগ্রাম, পটিয়া, সিলেট ও সরিষাবাড়ি বন্ধুসভার বন্ধুরা।

মোট ছয়টি পর্বে প্রচারিত হয় সাংস্কৃতিক পরিবেশনা

প্রথম পর্বে ছিল: কবিতা—স্বাধীনতা, এই শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো (বণিক বৈশ্য) ও বাঁচার আকুতি (রেদোয়ান আহমেদ), গান—ভ্রমর কইয়ো গিয়া (রিদিতা মাঈশা) এবং নাচ—পাতা ঝরা বৃষ্টি এল (নাফিসা তাবাসসুম)।

দ্বিতীয় পর্বে ছিল: গান—একটা গান লিখো আমার জন্য (প্রমি দাশ), কবিতা—রিকশাওয়ালা (মুনিয়া ইসলাম), নাচ—মন মোর মেঘের সঙ্গী (পূর্ণিমা দেবী) এবং চাকমা গান—বাপ্পী চাকমা।

তৃতীয় পর্বে ছিল: গান—আহারে খোদার বান্দা (অর্ণব ভট্টাচার্য), এই মেঘলা দিনে একলা (তনুশ্রী বণিক) ও ঝিলমিল ঝিলমিল ঢেউ তুলে যায় (আফিয়া আনজুম), নাচ—সজনি সজনি রাধিকা লো (নন্দিতা চক্রবর্তী) এবং কবিতা—মনে থাকবে (ফাল্গুনি ভট্টাচার্য)।

চতুর্থ পর্বে ছিল: গান—বলেছিলে তুমি তীর্থে আসিবে (স্বস্তিকা দাশ–চট্টগ্রাম মহানগর বন্ধুসভা), কবিতা—সোনার তরী (সাজিয়া আফরিন–চট্টগ্রাম মহানগর বন্ধুসভা) ও এ যাত্রায় বেঁচে গেলে (ফারিয়া রহমান–সিলেট মহানগর বন্ধুসভা) এবং নাচ—কেন রোদের মতো হাসলে না (স্বস্তিকা সেনগুপ্ত–চট্টগ্রাম মহানগর বন্ধুসভা)।

পঞ্চম পর্বে ছিল: গান— পুরানো সেই দিনের কথা (অনন্যা ঘোষ রায়–পটিয়া বন্ধুসভা), তুই যদি আমার হইতি রে (সুকন্যা ঘোষ রায়–পটিয়া বন্ধুসভা) ও আইলানা আইলানা রে বন্ধু (শোভা দাস–সরিষাবাড়ি বন্ধুসভা), এবং কবিতা—সরকারি মেডিকেলের বারান্দায় (ফররুখ আহমেদ–পটিয়া বন্ধুসভা)।

ষষ্ঠ পর্বে ছিল: গান—মিলন হবে কত দিনে (প্রিয়াঙ্কা মহাজন) ও ত্রিভুবনের প্রিয় মুহাম্মদ (নুসরাত জাহান), কবিতা—ছাড়পত্র (শাহনাজ ঝুমু) এবং কথা ও গানে কাজী নজরুল ইসলাম—কাজী নাঈম ইসলাম।

এই পরিবেশনার মাধ্যমে শেষ হয় চবি বন্ধুসভার দশম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

এর আগে চবি বন্ধুসভার প্রতিষ্ঠালগ্ন হতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ কৃতী বন্ধুদের নিয়ে কয়েকটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

এম হুমায়ূন কবির: উপসাংগঠনিক সম্পাদক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভা