‘একশনএইড-প্রথম আলো বন্ধুসভা জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা–২০২০ ’

নারীর গৃহস্থালি সেবামূলক কাজের মূল্যায়ন ও স্বীকৃতি আদায়ে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে উদ্যোগ গ্রহণ এবং তরুণদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে একশনএইড ও প্রথম আলো বন্ধুসভা যৌথভাবে ‘জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা ২০২০’-এর আয়োজন করেছে। নারীদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কাজে মূল্যায়ন ও সামাজিক সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যেই একশনএইড ও বন্ধুসভার এ আয়োজন।

বাংলাদেশের সব নাগরিক এ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। প্রতিযোগিতা তিনটি পর্বে অনুষ্ঠিত হবে। অংশগ্রহণকারী বন্ধুরা প্রতিষ্ঠানের নাম, পেশা ও মোবাইল নম্বর স্পষ্টভাবে উল্লেখ করে নির্দিষ্ট মেইলে তিন মিনিটের ভিডিও পাঠাবেন।

চূড়ান্ত পর্বে বিচারকদের মূল্যায়নের মাধ্যমে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা ও পুরস্কৃত করা হবে। আয়োজনটি ১৫ ডিসেম্বর সমাপনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শেষ হবে। পুরো কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করছেন প্রথম আলো বন্ধুসভা জাতীয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মুমিত আল রশিদ, সাধারণ সম্পাদক মৌসুমী মৌ, নির্বাহী সভাপতি শাকিল মাহবুব, অর্থ সম্পাদক জাফর সাদিক, বিতর্কবিষয়ক সম্পাদক সজল মিত্র রিচার্ড ও ঢাকা মহানগর বন্ধুসভার সভাপতি উত্তম রায়।

প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের নিয়মাবলি

১. বিতর্কের ধরন হবে বারোয়ারি।

২. প্রতিযোগিতাটি তিন পর্বে অনুষ্ঠিত হবে।

৩. প্রথম পর্ব: বিভাগীয় পর্বে সংশ্লিষ্ট আটটি বিভাগের যেকোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাধ্যমিক থেকে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা নির্ধারিত বিষয়ে তিন মিনিটে তাঁদের বক্তব্য ভিডিও করে নির্দিষ্ট ই-মেইলে পাঠাবেন। প্রতি বিভাগে স্বতন্ত্র বিচারকমণ্ডলী বিতর্ক মূল্যায়ন করে সেরা তিনজনকে নির্বাচন করবেন।

৪. দ্বিতীয় পর্ব: প্রতি বিভাগের নির্বাচিত সেরা তিনজন সেমিফাইনালের জন্য নির্ধারিত একটি বিষয়ে চার মিনিটে তাঁদের বক্তব্য ভিডিও করে পাঠাবেন।

৫. চূড়ান্ত পর্ব: সেমিফাইনালের সেরা দশজন ভার্চ্যুয়ালি জুম অ্যাপের মাধ্যমে বিচারকমণ্ডলীর উপস্থিতিতে নির্ধারিত বিষয়ে পাঁচ মিনিটে তাঁদের বক্তব্য প্রধান করবেন।

৬. প্রথম পর্ব ও সেমিফাইনালের বিতর্কের ভিডিও নির্দিষ্ট ই-মেইলে পাঠাতে হবে। মেইলের সাবেজেক্টে বিতর্কের নির্ধারিত বিষয়টি উল্লেখ করতে হবে।

৭. প্রতি পর্বের বিতর্কে নির্ধারিত সময়ের অতিরিক্ত সর্বোচ্চ ১০ সেকেন্ড সময় ব্যবহার করা যাবে।

৮. পর্যাপ্ত আলো এবং কোলাহলমুক্ত স্থানে বিতর্কের ভিডিও ধারণ করতে হবে।

৯. বিতর্কের ভিডিও সম্পূর্ণ বিরতিহীন হতে হবে। কোনো ধরনের আবহসংগীত, ক্যাপশন কিংবা সম্পাদনা গ্রহণযোগ্য হবে না।

১০. বিচারকার্যের সুবিধার্থে ভিডিও ধারণের শুরুতে অবশ্যই প্রতিযোগীর নাম, বন্ধুসভা/শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম এবং বিতর্কের বিষয় উল্লেখ করতে হবে।

১১. বিতর্কের ভিডিও মেইলে সংযুক্ত করার সময় মেইল বডিতে অবশ্যই প্রতিযোগীর নাম, বিভাগের নাম, বন্ধুসভার নাম, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম, পেশা, মোবাইল নম্বর স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে।

১২. ভিডিও পাঠানোর ই-মেইল ঠিকানা: [email protected]

১৩. ভিডিও পাঠানোর সর্বশেষ সময়: ৯ ডিসেম্বর ২০২০, রাত ১১টা ৫৯ মিনিট।

১৪. চূড়ান্ত পর্বে বিচারকদের মূল্যায়নের ভিত্তিতে সেরা পাঁচজনকে প্রাইজমানি, ক্রেস্ট ও বই প্রদান করা হবে। এ ছাড়া ফাইনালের দশজনের প্রত্যেককেই সনদপত্র দেওয়া হবে।

১৫. সম্পূর্ণ প্রতিযোগিতায় আয়োজক কমিটি এবং বিচারকমণ্ডলীর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।