একটি আনন্দমুখর সন্ধ্যা

একটি আনন্দমুখর সন্ধ্যা।
ছবি: সংগৃহীত

এ যেন স্বপ্ন হলো সত্যি।
মাঝেমধ্যে ভাবতাম কোনো এক আয়োজনে দেখা হবে তাঁদের সঙ্গে? ঢাকায় আদৌ যেতে পারব কি না, এমন কোনো আয়োজন হবে কি যেখানে সবাই থাকবে? হবেই–বা কী করে? করোনা আমাদের পিছু ছাড়ছেই না।
২১ জুলাই ঈদ। আমার জন্য চাঁদ রাত ছিল ঈদের পরদিন। সন্ধ্যায় ঝিরিঝিরি বৃষ্টি। হঠাৎ ফোন, তাঁরা আসছেন ভৈরব। নিজেকে একটু গুছিয়ে ছুটছি। ইকরাম ভাই ফোনে খুশির খবর দিচ্ছেন একে একে সবাই হাজির।

একটি আনন্দমুখর সন্ধ্যা।
ছবি: সংগৃহীত

প্রথম আলো ভৈরবের নিজস্ব প্রতিবেদক সুমন মোল্লা ভাই জ্যামে আটকা পড়লেন। বারবার কল দিয়ে বলছেন, সব ঠিক আছে তো? ওনারা আর ১৫ মিনিটেই পৌঁছে যাবেন। আমরা কয়েকজন দাঁড়িয়ে তাঁদের বরণ করব। পিয়াল ফুল নিয়ে হাজির, তানশি, মানিক, রিফাত সবকিছু নিয়ে প্রস্তুত।
শাঁ শাঁ করে সাদা গাড়ি ছুটিয়ে তাঁরা এলেন। এই বৃষ্টিতে যা ছিল অপ্রত্যাশিত। তাঁরা মানে বন্ধুসভা জাতীয় পর্ষদ ও ঢাকা মহানগরের বন্ধুরা। সিঁড়িতে আমাকে দেখে মুমিত আল রশিদ ভাই বললেন, প্রিয়াংকা?
—জি ভাইয়া।

একটি আনন্দমুখর সন্ধ্যা।
ছবি: সংগৃহীত

একে একে সবাই বসলাম। আমরা বেশ পুলকিত, তাঁদের দেখে মুগ্ধ। যেন ভরা বৃষ্টিতে আকাশের তারাগুলো চলে এল। শুরু হলো আড্ডা। শাহিন মাহফুজ ভাইয়া লেখালেখির ব্যাপারে উৎসাহ দিলেন। বন্ধুদের লিখতে বললেন বন্ধুসভার ওয়েবসাইটে।

তখন ভাবলাম লিখব আজকের ‘এই সন্ধ্যা’ নিয়েই। সবার কথা মনোযোগসহকারে শুনছি। অল্প কথায় যেন অনেক কিছু শেখার ছিল। সাইফুল্লাহ সাদেক ভাইয়ার একটি কথা অনেক ভাবিয়েছে, মানুষ নির্বাচন করে চলতে হবে। শান্তা তাওহীদা আপু দেড় যুগ ধরে বন্ধুসভায় যুক্ত। তিনি মনে করেন বন্ধুসভা তরুণদের গড়ে ওঠার ও ভালো কাজ করার অন্যতম মঞ্চ। মৌসুমী মৌ আপুর নদী-বৃষ্টি খুব পছন্দ। আপু কথা দিলেন আবার ভৈরব আসবেন নৌকা করে মেঘনায় বর্ষাদর্শন করতে।

একটি আনন্দমুখর সন্ধ্যা।
ছবি: সংগৃহীত

বন্ধু তমা ও সানজিদার কণ্ঠে গান, অর্ণব সাহার স্বরচিত কবিতা আবৃত্তিতে বেশ জমে উঠল আড্ডা। ঘড়ির কাঁটায় বেজে উঠল বিদায়ঘণ্টা। না চাওয়া সত্ত্বেও মধুর আড্ডা শেষ হলো। এবার যাওয়ার পালা। টিপটিপ বৃষ্টি পড়ছে, ধূসর গাড়িটি চড়ে সবাই ঢাকার উদ্দেশে ফিরে গেলেন।
এমন একটি সন্ধ্যার মতো আরেকটি দিন আবার চাই। অপেক্ষায় আছি বর্ষাদর্শনের।