ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি বন্ধুসভার ‘বন্ধুত্বের উষ্ণতা’
শীতের সকাল মানেই মায়ের পাশে বসে গরম গরম পিঠাপুলি খাওয়া। নানা অথবা দাদাবাড়িতে শীতের ছুটি কাটানো। শীত মানেই অনেক আনন্দের একটি ঋতু। বৃষ্টি যেমন সবার জন্য খুশি বয়ে আনে না, তেমনি শীতও তা–ই। যে মুহূর্তে আমরা শীতের আনন্দ উপভোগ করে আমাদের শীতকাল পার করে দিই, সেই সময়ে দেশের নানা জায়গায় কিছু মানুষের কাছে শীত এক দুঃস্বপ্নের নাম।
এবার আমাদের শীতবস্ত্র বিতরণের জন্য বেছে নেওয়া জেলার নাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া। ঢাকা থেকে ৬ জানুয়ারি সকাল ৭টায় ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি প্রথম আলো বন্ধুসভার বন্ধুরা যাত্রা করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পথে। সেখানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশন–সংলগ্ন পথশিশুদের স্কুল ‘পথ তারার ইশকুল’-এর ১২০ শিশুর মধে৵ কম্বল বিতরণ করে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি প্রথম আলো বন্ধুসভা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার চাপিয়া গ্রামে অবস্থিত ‘দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসা ও এতিমখানা’। ৭ জানুয়ারি সকাল ১১টায় এ মাদ্রাসায় ছিল আমাদের পরবর্তী আয়োজন। বর্ডার–সংলগ্ন এই ছোট্ট গ্রামে সূর্যের আলো দেখা যায় না প্রায় দিনই। মাদ্রাসার ৮০ জন এতিম শিশুকে কম্বল উপহার দেওয়া হয়।
এ কর্মসূচিতে সার্বিক সহযোগিতা করেন ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি প্রথম আলো বন্ধুসভার বন্ধুরা। দিনশেষে আমাদের চাওয়া খুব অল্প। তা হলো, কিছু মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। আমাদের একার পক্ষে হয়তো পুরো পৃথিবীকে এক দিনে বদলে দেওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা প্রত্যেকে নিজেদের জায়গা থেকে এভাবে মানুষের পাশে দাঁড়ালে একদিন এই পৃথিবী বদলে যাবেই।