‘আমার সন্তান যেন প্রথম আলোর মতো আলোকিত ও সাহসী হয়’
‘আমার সন্তান যেন প্রথম আলোর মতো আলোকিত হয়। প্রথম আলোর মতো সাহস নিয়ে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের জন্য কাজ করতে পারে।’ বলছিলেন বরিশালের গৌরনদী উপজেলা সুইস হাসপাতালে জন্ম নেওয়া নবজাতকের মা ময়না আক্তার (২০)। এ কথা শুধু ময়নার নয়, ৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার গৌরনদী উপজেলা সদরের প্রাইভেট ক্লিনিকে জন্ম নেওয়া ১২ নবজাতকের বাবা–মায়েরও।
প্রথম আলোর ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বন্ধুসভা জাতীয় পর্ষদ ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী প্রত্যেক বন্ধুসভা ‘একটি করে ভালো কাজ’ করার উদ্যোগ নেয়। গৌরনদী বন্ধুসভার প্রস্তুতি সভায় সিদ্ধান্ত হয়, ভালো কাজের অংশ হিসেবে ৪ নভেম্বর প্রথম আলোর জন্মদিনে গৌরনদী উপজেলা সদরের প্রাইভেট ক্লিনিকগুলোতে যত নবজাতক জন্ম নেবে, তাদের পরিবারকে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা কার্ড পৌঁছে দেওয়া হবে। সঙ্গে থাকবে একটি ফুলের তোড়া, এক প্যাকেট মিষ্টি ও নবজাতকের জন্য পোশাক।
৪ নভেম্বর গৌরনদীর মৌরী ক্লিনিকে সাতটি ও সুইস হাসপাতালে পাঁচটি শিশু জন্মগ্রহণ করে। গৌরনদী বন্ধুসভার বন্ধুরা ক্লিনিকগুলোতে গিয়ে নবজাতকের পরিবারকে শুভেচ্ছা জানান ও উপহার পৌঁছে দেন। সুইস হাসপাতালে জন্ম নেওয়া পুত্রসন্তান নুরুজ্জামানের মা রেশমা বেগম বলেন, সমাজের প্রতিটি ভালো কাজের সঙ্গে প্রথম আলো আছে, আমার প্রত্যাশা, আমার সন্তান বড় হয়ে প্রথম আলোর মতো আলোকিত হয়ে মানুষের কল্যাণে কাজ করবে।’
কর্মসূচিতে অংশ নেন গৌরনদী বন্ধুসভার উপদেষ্টা ঝর্ণা দাস ও পলাশ তালুকদার, সভাপতি শ্রী কৃষ্ণ চক্রবর্তী, সম্পাদক এম আর মহাসেন, সহসভাপতি খাইরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এসএম শিবলুর রহমান, সাংস্কৃতিক সম্পাদিক সিলভিয়া মুন, সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক রাজিব খান, বন্ধু দেলোয়ার হোসেন, ফরিদ হোসেন, শামীম মীর, সাগর বেপারী, রনি আহমেদ, রিপন সরকার, সাগর, শান্ত ও নাঈম। কর্মসূচি সমন্বয় করেন প্রথম আলোর প্রতিনিধি জহুরুল ইসলাম।