বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের বাস্তব জীবনের প্রতিফলন ‘উন্নত জীবন’

নোবিপ্রবি বন্ধুসভার পাঠচক্রের আসরসংগৃহীত

আপনাকে যদি প্রশ্ন করা হয়, ‘উন্নত জীবনযাপনের প্রথম শর্ত কী?’ হয়তো আপনি প্রথমেই ভ্যাবাচেকা খেয়ে যাবেন। কিছুক্ষণ ভেবে অনেকগুলো শর্ত খুঁজে বের করবেন। যত শর্তই খুঁজে বের করুন না কেন, আপনাকে ডা. লুৎফুর রহমানের সঙ্গে একমত হতেই হবে। তাঁর মতে, ‘উন্নত জীবনযাপন করতে হলে একটি দেশের সাহিত্য, সংস্কৃতি ও জনগণের মনোভাবকে উন্নত করতে হবে।’

উন্নত জীবনের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার পথ খুঁজতেই নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভার নবম পাঠচক্রের নির্ধারিত বই ছিল ‘উন্নত জীবন’। ডা. লুৎফুর রহমান রচিত বইটি বর্তমান সমাজের জন্য আলোকবর্তিকাস্বরূপ। ১ এপ্রিল রাত ১০টায় অনলাইন গুগল মিট অ্যাপে পাঠচক্র অনুষ্ঠিত হয়।

বইটি নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে ম্যাগাজিন সম্পাদক সানজিদা ইসলাম বলেন, ‘কোনো একটি জাতিকে ধ্বংস করতে হলে, সে জাতির শিক্ষাব্যবস্থা ও শিক্ষিত সমাজকে ধ্বংস করতে হবে। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীও এই নীতি অবলম্বন করেই বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিল। এ জন্য আমাদের উচিত শিক্ষাকে এমনভাবে ছড়ানো, যেন তা জাতির মধ্য থেকে মুছে না যায়।’

কার্যনির্বাহী সদস্য সুবর্ণা ফেরদৌস বলেন, ‘বইটিতে মূলত বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের বাস্তব জীবনের প্রতিফলন ঘটেছে। এই বই আমাকে অনেক অনুপ্রেরণা দিয়েছে। এই বই আমাকে ব্যর্থ হওয়ার পরও ঘুরে দাঁড়ানোর উপায় শিখিয়েছে।’

সভাপতি আবু রায়হান বলেন, ‘এই বই অনেকটা দার্শনিক টাইপের। বেশির ভাগ দর্শনশাস্ত্রের বই সাধুভাষায় রচিত বলে আমরা বুঝতে পারি না। কিন্তু এই বই স্বতঃস্ফূর্তভাবে চলিত ভাষায় লেখা হয়েছে। তাই যে কেউই সহজে বুঝতে পারবে। লেখক বইয়ে যা লিখেছেন, তা তিনি নিজের মন থেকে সত্য ভেবেই লিখেছেন। তাই সহজেই পাঠককে বইটি ছুঁয়ে যায়।’

পাঠচক্রে আরও উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক নাহিন সুলতানা, ত্রাণ ও দুর্যোগ সম্পাদক ইতু রানী কুরিসহ অন্য বন্ধুরা।

প্রচার সম্পাদক, নোবিপ্রবি বন্ধুসভা