বই আড্ডা ও আলোচনা সভা

নোয়াখালী বন্ধুসভার বই আড্ডা ও আলোচনা সভা
ছবি: সংগৃহীত

শব্দের জাদুকর হুমায়ূন আহমেদ তাঁর জাদুময় শব্দচয়ন দিয়ে বাংলা সাহিত্যপ্রেমীদের কাছে চিরকাল বেঁচে থাকবেন। তাই তাঁর জন্মবার্ষিকী মানেই সব হুমায়ূনপ্রেমী পাঠক বন্ধুদের কাছে উৎসবের মতো। নন্দিত এই কথাসাহিত্যিকের ৭৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে নোয়াখালী বন্ধুসভা আয়োজন করেছে ‘অনলাইন বই আড্ডা ও আলোচনা সভা’।

আড্ডায় নির্ধারিত বই ছিল ‘শঙ্খনীল কারাগার’। বইটিতে সমাজের মধ্যবিত্ত পরিবারের গল্প খুবই সাবলীল ছন্দে লেখক বলে গেছেন। আড্ডার শুরুতেই হুমায়ূন আহমেদ নিয়ে একে একে বন্ধুরা নিজেদের ভাবনা প্রকাশ করেন। কেউবা লেখকের বই পড়া নিয়ে মজার স্মৃতি বলেন।

নোয়াখালী বন্ধুসভার সাবেক সভাপতি জামিল যাকারিয়ার মতে, হুমায়ূন আহমেদ তাঁর লেখায় একটি চরিত্র ‘মারা গেছে’ এই কথা সাবলীলভাবে উপস্থাপন করেও গল্পকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন, নতুন মাত্রা দিয়েছেন। এটি লেখকের বিশেষ গুণ। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসিফ আহমেদ বলেন, বইটিজুড়েই লেখক চরিত্রগুলোকে সুপ্ত বেদনা দিয়ে উপস্থাপন করেছেন। তবে কাহিনির কোথাও তিনি ফাটল রাখেননি। মানুষের মধ্যে সুপ্ত বেদনা, জীবনের না পাওয়া সুখ ছাড়াও জীবন এগিয়ে যায়, সেটিই বলে গেছেন।

আলোচনা শেষে বন্ধুদের জন্য ছিল কুইজ প্রতিযোগিতা, যেখানে লেখকের বিভিন্ন বইয়ের উক্তি এবং অন্যতম চরিত্র হিমু, মিসির আলী এবং শুভ্রকে নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। কুইজে বিজয়ী হন নোয়াখালী বন্ধুসভার সহসভাপতি পূজা ভৌমিক।
বই আড্ডায় আরও উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতিক সম্পাদক নিথিন রায়, পরিবেশ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক উম্মে ফারিন, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক পার্বণ ভৌমিক, বন্ধু কাজী জুবায়ের, আবু তাহেরসহ অন্য বন্ধুরা।

প্রচার সম্পাদক, নোয়াখালী বন্ধুসভা